রোববার (৬ এপ্রিল) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দুটি চিঠি দেয়া হবে। একটা চিঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। একটি চিঠি ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) কাছে দেবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। বাংলাদেশের বাণিজ্য স্বার্থ দেখা হবে, আমরা চেষ্টা করছি আরও যেন বাণিজ্য বাড়ে।
একই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছি আমরা। আমরা এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ভবিষ্যতে আরও ভালো বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে পারব।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের মতে, এ বছর সংস্কারের বছর, আমরা বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এসে নতুন বাংলাদেশ দেখাতে চাই। ১০ বছর পর বাংলাদেশ কেমন হবে সেই আভাস দেয়া হবে এবারের সামিটে। বাংলাদেশের বিষয়ে বিশ্বের ধারণা চেঞ্জ করা হবে এই সামিটের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কারোপে কী প্রভাব পড়বে?
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা যেসব পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়া যেতে পারে, সেগুলোর একটি সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক হ্রাসের ফলে আমদানি বাড়লেও রাজস্বে উল্লেখযোগ্য প্রভাব যাতে না পড়ে— এমন পণ্যগুলোকে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। বৈঠকে রফতানিকারক, ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা অংশ নেন।
এনবিআর ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ এক প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত প্রায় ৩০টি পণ্যে তুলনামূলকভাবে উচ্চ শুল্কহার বিদ্যমান। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে— জেনারেশন ও জেনারেটিং সেট, ভালভ, গরুর মাংস, কৃষিপণ্য, কিছু কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি। এসবের ওপর শুল্কহার ২৬.২ শতাংশ থেকে শুরু করে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কারোপে দুশ্চিন্তায় উদ্যোক্তারা, দ্রুত আলোচনার তাগিদ
তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বাংলাদেশে গড় প্রভাবিত শুল্কহার ৫ শতাংশেরও কম।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের প্রধান আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে— তুলা, স্ক্র্যাপ, বোয়িং বিমানের যন্ত্রাংশ ও বিভিন্ন মূলধনী যন্ত্রপাতি। এসবের বেশিরভাগই আগে থেকেই শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। এছাড়া উচ্চমূল্যের গাড়িও মাঝে মাঝে আমদানি করা হয়। গত অর্থবছরে এ ধরনের মাত্র ৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে।
]]>