কক্সবাজারে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ ইমার্জিং নারী দলকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়া ইমার্জিং নারী দল। শুরুতে ব্যাট কতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১১৭ রান করে শারমিন সুলতানার বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১০ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী দল।
রান তাড়ায় দারুণ শুরু পায় প্রোটিয়া ইমার্জিং নারী দল। টানিক্লিফ ও আলেকজান্দ্রা ক্যান্ডলারের উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন। ৩৩ বলে ৩৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে নিশিতা আক্তার নিশির বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আউট হন টানিক্লিফ। তবে ততক্ষণে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে।
টানিক্লিফ ফেরার পর স্বল্প রানের ব্যবধানে আউট হন আরেক ওপেনার ক্যান্ডলারও। আঁটসাঁট বোলিংয়ে তখন সফরকারীদের কিছুটা চেপে ধরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ দল। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
শেষ ৪ ওভারে ২৩ রান দরকার ছিল প্রোটিয়া নারীদের। সিমোনে লরেন্স এবং জেনা ইভান্স পরের দুই ওভারেই তুলে নেন ১৮ রান। শেষ ২ ওভারে যখন ৫ রান প্রয়োজন তখন স্বর্ণাকে টানা দুই চার মেরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় এনে দেন ইভান্স। ইভান্স অপরাজিত থাকেন ৯ রানে। আরেক ব্যাটার সিমোনে দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাত সিরিজে বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা!
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরেছেন সাথী রানী বর্মন। তিনে নামা সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা আউট হয়েছেন পাওয়ার প্লে শেষের আগেই। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও শারমিনের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন রুবাইয়া। তাদের দুজনের ব্যাটেই এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। দলের রান পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর আউট হয়েছেন রুবাইয়া।
৩৯ বলে ২৭ রান করে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার। ভালো শুরু পাওয়া ইরা ফিরেছেন ১২ বলে ১৮ রান করে। একটু পর শারমিনও আউট হয়েছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে। শেষের দিকে সমান একটি করে চার ও ছক্কায় ১১ বলে ১৯ রান করেছেন স্বর্ণা। তাদের ব্যাটেই ১১৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। তবে সেটা জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না।
]]>