শীতের শান্ত সাগরে ভ্রমণপিপাসুদের উৎসবের আমেজ

২ দিন আগে
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেমেছে পর্যটকের ঢল। সাগর তীরজুড়ে মানুষ আর মানুষ। মেতেছেন নোনাজলে উৎসবের আমেজে। আর সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে লাইফগার্ড সংস্থা।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। প্রতিটি পয়েন্টের সাগরতীর জুড়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর।

 

ভ্রমণপিপাসুদের এই ভিড় যেন সৈকতে এনেছে এক উৎসবের আমেজ। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে সবাই মেতেছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। কেউ সমুদ্রের নোনাজলে ডুব দিচ্ছেন, কেউ আবার টিউবে গা ভাসিয়ে উপভোগ করছেন ঢেউয়ের দোলা।

 

আরও পড়ুন: ‘বানৌজা বিশখালি’ যুদ্ধজাহাজ দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শনার্থীরা


সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে আসা পর্যটক হায়দার আলি বলেন, সারাদিন কাজ করতে করতে শরীরে ক্লান্তি চলে আসে। আর সেই ক্লান্তি দূর হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এসে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা গাড়িতে চড়ে কক্সবাজার এসেছি, কিন্তু সমুদ্রসৈকতে এসে অনেক বেশি ভালো লাগছে।

 

ঘোড়ার পিঠে ওঠে ছবি তুলছেন সাভারের রিয়াজ। তিনি বলেন, মন-মানসিকতা সমুদ্রের পাশে আসলেই ভালো হয়ে যায়। পেছনে যত দুঃখ কষ্ট থাকে সব ভুলে যায়।

 

আরেক পর্যটক তাহমিনা নাছরিন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবহাওয়া অনেক চমৎকার। এটা ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময়, তাই পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এসেছি। প্রতিবছরই নভেম্বরে কক্সবাজার ঘুরতে আসা হয়, তাই এবারও ঘুরতে এসেছে খুবই আনন্দ করছি।

 

পর্যটকের এই ভিড়ে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ফটোগ্রাফাররা। বাড়তি আয় নিয়ে আশাবাদী তারা। সৈকতের জেড স্কী চালক সাদ্দাম বলেন, শীতের আগমনে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয়েছে। যার কারণে জেড স্কী, বিচ বাইক, ঘোড়াওয়ালা, ফটোগ্রাফার থেকে শুরু করে সব ব্যবসায়ীদের ভালো হচ্ছে।

 

ফটোগ্রাফার ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রচুর পর্যটক কক্সবাজার এসেছে। পর্যটকদের ছবি তুলে ভালো আয়ও হচ্ছে। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে পর্যটকের সমাগম আরও বাড়বে, আয় আরও ভালো হবে।

 

আরও পড়ুন: ভৈরব নদে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা

 

পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে লাইফ গার্ড কর্মীরা। সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফগার্ড কর্মী মোহাম্মদ সাদেক বলেন, সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের নোনাজলে প্রচুর পর্যটক সমুদ্রস্নান করছে। এখন সাগর অনেকটায় শান্ত। তবে টিউবে গা ভাসানো পর্যটকদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে। বাতাসের কারণে টিউবে গা ভাসানো পর্যটকরা গভীর সাগরে চলে যাচ্ছে। এতে যে-কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হচ্ছে।

 

এদিকে পর্যটক হয়রানি রোধে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সৈকতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন