পাঁচ দিন ধরে ডায়রিয়ায় ভুগছে ১৪ মাসের সামিয়া। শুরুতে হালকা জ্বর আর বমি থাকলেও এক পর্যায়ে তা বাড়তে থাকে। স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবনের পরও অবস্থা গুরুতর হলে নাটোর থেকে সামিয়াকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা হয় রাজধানী মহাখালীতে অবস্থিত আইসিডিডিআরবিতে।
১৩ মাসের নুসাইবার ডায়রিয়া সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হলেও মেলেনি মুক্তি। দেড় বছরের রুবাইয়ারও একই দশা। তাদের মতো আরও অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে এখানে এসেছেন চিকিৎসা নিতে।
আইসিডিডিআরবির পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন আট শতাধিক শিশু ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছে এখানে। এদের প্রায় ২০ শতাংশ আসছে ঝুঁকিপূর্ণ উপসর্গ নিয়ে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
তথ্য বলছে, প্রায় ৯০ শতাংশ মা জানেন না কীভাবে ওরস্যালাইন বানাতে হয়, আর এতেই বাচ্চার রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ছে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি।
আইসিডিডিআরবির এসএসইউ ওয়ার্ডের ক্লিনিক্যাল লিডার ডা. শোয়েব বিন ইসলাম বলেন, এখানে ৯০ শতাংশ শিশুই রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। পরিমিতি স্যালাইন এবং জিংক ট্যাবলেটেই নিরাময় সম্ভব।
রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া নিরাময়ে অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন এই চিকিৎসক।
]]>