শীতে কেন সর্দি–কাশি বাড়ে: প্রতিকার ও প্রতিরোধে ৭টি পুষ্টি টিপস

২ দিন আগে
শীতের শুরুতে তাপমাত্রা কমে গেলে ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়, বাতাসে আর্দ্রতা কমে নাক–গলার মিউকাস শুকিয়ে যায় এবং ইমিউনিটি সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথার প্রকোপ দেখা দেয়। বিশেষত শিশু, বয়স্ক, অ্যালার্জি ও হাঁপানি রোগীরা বেশি আক্রান্ত হন।

১. ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার নিন
 

আমলকি, পেয়ারা, কমলা, সবুজ মরিচ শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায় ও সংক্রমণ কমায়। সকালে লেবু–গরম পানি বা দুপুরে কাঁচা সালাদ উপকারী।

 

২. ভিটামিন D ও জিঙ্ক ইমিউনিটি শক্তিশালী রাখে
 

শীতে রোদ কম পাওয়ায় ভিটামিন D কমে যায়। ডিম, দুধ, মাছ, মাশরুম খেতে পারেন। জিঙ্ক (ছোলা, ডাল, বাদাম, বীজ) ভাইরাসের বৃদ্ধি কমায়।

 

৩. প্রতিটি মিলেই প্রোটিন রাখুন
 

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাতে ইমিউন সিস্টেমের অ্যান্টিবডি তৈরিতে প্রোটিন অপরিহার্য। ডিম, দুধ, টক দৈ,  মাছ, মুরগি, ডাল, ছোলা, বাদাম বীচি, মাশরুম, সয়াবিন ইত্যাদি প্রতিদিন খাবেন।

 

৪. প্রোবায়োটিক খাবার সংক্রমণ ও গলা ব্যথা কমায়
 

টক দই, ঘরে বানানো লাচ্ছি ও ফারমেন্টেড খাবার অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়, যা গলা ব্যথা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে। তবে শীতকালীন মৌসুমে সকাল থেকে বিকালের মধ্যেই টক দৈ খেয়ে ফেলা উচিত, সন্ধ্যার পর খেলে বরং কফ বারতে পারে কারো ক্ষেত্রে ।

 

আরও পড়ুন: ব্রাইডাল সিজনে ফিটনেস আতঙ্ক নয়, স্মার্ট পুষ্টিতেই আসুক উজ্জ্বলতা ও সুস্থতা
 

৫. উষ্ণ পানীয় congestion কমায়
 

আদা–লেবু–মধুর চা, চিকেন–ভেজিটেবল স্যুপ  অথবা ডিম বা ডালের সাথে ভেজিটেবল স্যুপ   বা হলুদ–দুধ গলার প্রদাহ কমায় ও নাক ব্লকেজ খুলে দেয়।

 

৬. শীতে পানি পান ভুলবেন না
 

ঠাণ্ডায় তৃষ্ণা কম লাগে, ফলে ডিহাইড্রেশন হয়। দিনে ৬–৮ গ্লাস কুসুম গরম পানি নিন—এটি মিউকাস ঝিল্লি আর্দ্র রাখে। সারাদিনে দিনে অন্তত ১২ গ্লাস পানি পান জরুরী ।

 

৭. অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি খাবার শ্বাসযন্ত্র সুরক্ষায় সহায়ক
 

হলুদ, লবঙ্গ, গোল মরিচ, রসুন, কালো জিরা, অলিভ অয়েল  সরিষার তেল ও ওমেগা–৩ সমৃদ্ধ মাছ congestion ও গলার প্রদাহ দ্রুত কমায়।
শীতকালে ঠাণ্ডা–কাশি পুরোপুরি এড়ানো না গেলেও সঠিক পুষ্টি, পর্যাপ্ত পানি, ভিটামিন D–সমৃদ্ধ খাবার এবং ঘরের ধুলাবালি কমিয়ে রাখলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। শিশু, বয়স্ক ও অ্যালার্জি রোগীদের জন্য এই ৭টি পুষ্টি টিপস বিশেষভাবে কার্যকর। যাদের  একই সাথে বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, তারা প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শমতো খাদ্য তালিকা গ্রহণ করা উচিত।

 

লিখেছেন: পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান ইফাত
সিনিয়র ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান, বাংলাদেশ সাইকিয়াট্রিক কেয়ার ক্লিনিক,
বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস, ধানমন্ডি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন