শীতকালের সহজ দুটি আমল

৩ সপ্তাহ আগে
পৃথিবীর সবকিছুই পরিবর্তনশীল। সময়ের সাথে সাথে ঋতুও পরিবর্তিত হয়। গরমের পর আসে শীত। এই শীতকালকে ইবাদতের বসন্তকাল বলা হয়। বিশেষ করে রোজা ও তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য এটি অত্যন্ত উপযুক্ত সময়।

এ প্রসঙ্গে কিছু হাদিস, সাহাবিদের উক্তি এবং পূর্বসূরিদের আমল রয়েছে। রসুলুল্লাহ (স.) শীতকালে রোজা রাখার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। এক হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘শীতকালের সিয়াম হলো অনায়াসলব্ধ গনিমত সম্পদের মতো।’ (তিরমিজি ৭৯৭)

 

অন্য এক হাদিসে রসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল। এর দিন ছোট হয়; ফলে মুমিন দিনের বেলা রোজা রাখে এবং রাত দীর্ঘ হয়; ফলে মুমিন রাতের বেলা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে।’ (সুনানে কুবরা ৮৪৫৬)

 

এই হাদিসগুলোর ব্যাখ্যায় আলেমরা বলেন, শীতকালে রোজা রাখা সহজ, কারণ দিন ছোট হওয়ায় ক্ষুধা কম লাগে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে তৃষ্ণাও তেমন থাকে না।

 

সাহাবিরাও শীতকালকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) শীতের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বলতেন, ‘শীতকে স্বাগত জানাই, যখন বরকত নাজিল হয়, রাতগুলো প্রার্থনার জন্য দীর্ঘ হয় এবং রোজার জন্য দিনগুলো ছোট হয়।’

 

আরও পড়ুন: পার্থিব আশা কম করলে আল্লাহর যে ৪ অনুগ্রহ পাওয়া যায়

 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একবার লোকদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আমি কি তোমাদের অনায়াসলব্ধ গনিমতের সন্ধান দিব না?’ উত্তরে তারা রাজি হলে তিনি বলেন, ‘শীতকালে রোজা রাখা অনায়াসলব্ধ গনিমতের মতো।’ (সুনানে কুবরা ৮৪৫৫)। ইবন উমর (রা.)-এর মতে, ‘শীতকাল আবেদদের গনিমতের সময়।’ (হিলইয়া ১/৫১)।

 

পূর্বসূরিদের মধ্যেও শীতকালে ইবাদতের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেখা যায়। হাসান বসরি (রহ.) বলতেন, ‘শীতকাল কতই না উত্তম সময়, এর দিন ছোট হয় ফলে মুমিন দিনের বেলা রোজা রাখে এবং রাত দীর্ঘ হয় ফলে মুমিন রাতের বেলা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে।’ উবাইদ ইবন উমায়ের (রহ.) শীতকালে মুসলিমদের কোরআন তেলাওয়াত ও রোজা রাখার উপদেশ দিতেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন