শীতকাল কাজা রোজা আদায়ের উত্তম সময়

৩ দিন আগে
শীতকালে দিন ছোট থাকে, আর রাত বড়। আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। তাহাজ্জুদ পড়ারও সুবর্ণ সময় এ মৌসুম। এছাড়া, এ সময়ে কাজা রোজা আদায় করাও খুব সহজ।

হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তকাল বলা হয়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১১৬৫৬)

 

আরেকটি হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিনরা রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারেন এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারেন।’ (শুআবুল ইমান: ৩৯৪০)

 

আরও পড়ুন: হজ-ওমরাহযাত্রীদের জন্য বড় সুখবর


বছরের অন্যান্য ঋতুতে আবহাওয়া গরম হওয়ায় তখন রোজা রাখা তুলনামূলক কষ্টকর। তাই বিগত বছরগুলোতে কারও রমজানের ফরজ রোজা কাজা হয়ে গেলে তা আদায় করার সময় এখনই। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ কাজা রোজা আদায়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন, 

 

তোমাদের মধ্যে যে এ মাসে (রমজানে) থাকবে, সে যেন তাতে রোজা রাখে। আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির, সে অন্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে (কাজা আদায় করবে)। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজটাই চান, কঠিন করতে চান না। (সুরা বাকারা: ১৮৫)

 

বছরের পাঁচ দিন রোজা রাখা হারাম। দুই ঈদের দিন এবং ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদের পরের তিন দিন। আর মাহে রমজানের রোজা রাখা ফরজ। এছাড়া, বছরের বাকি দিনগুলোতে নফল রোজা রাখা যায়।

 

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার আর বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। এ দুদিনের রোজার বিশেষ ফজিলত হাদিসের কিতাবগুলোতে বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে বান্দার আমল তুলে ধরা হয়। আর আমি পছন্দ করি, আমার আমল এমন সময় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার।’ (তিরমিজি: ৭৪৭)

 

আরও পড়ুন: সূর্য ডোবে না, এমন দেশে নামাজ আদায়ের পদ্ধতি

 

প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজার বিশেষ ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। ইসলামি পরিভাষায় এ দিনগুলোকে ‘আইয়ামে বীজ’ বলা হয়। বীজ শব্দের অর্থ সাদা বা পরিষ্কার। এ দিনগুলোতে যেহেতু চাঁদের আলোয় পৃথিবী আলোকিত থাকে, ঝলমল করে, এজন্য দিনগুলোকে আইয়ামে বীজ বলা হয়। আবু জর (রা.)-কে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তুমি যদি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখো।’ (তিরমিজি: ৭৬১)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন