মোবাইলের প্রতি ছোটদের আকর্ষণ সহজে কমবে না। বুঝিয়েও তেমন লাভ হবে না। এতে শিশুর জেদ আরও বেড়ে যাবে। তাই শাসনে নয়, বরং কৌশল করেই এই আসক্তি কাটানোর চেষ্টা করতে হবে অভিভাবকদের। এর জন্য কিছু কৌশলের কথা বলা হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, শিশুর মোবাইল আসক্তি দূর করতে কিছু মজার খেলা ও সৃজনশীল কাজ শিখিয়ে দিন। এমনভাবে শিশুকে অভ্যাস করানোর চেষ্টা করতে হবে, যাতে বেশি সময়টা সেই কাজেই মগ্ন হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
রঙয়ের খেলা
রঙের জগতের সঙ্গে শিশুকে পরিচয় করিয়ে দিন। খুব ছোটরা আঙুলে রঙ মেখে কাগজে নানা রকম ছাপ দিতে পারে। তা দিয়েই শুরু করুন। রঙ পেনসিল, জলরং কিনে রাখুন। নিজের মনের মতো করে কাগজে আঁকিবুকি কাটতে দিন। ছবি এঁকে তাদের রঙ দিয়ে ভরাট করতে বলুন। কোনটিতে কী রং হবে, কোন রঙের কী নাম, তা শেখান। এরপর শিশুর আঁকা ছবি বাঁধিয়ে রাখুন। এতে তার উৎসাহ বাড়বে। নতুন কিছু সৃষ্টির আনন্দ পাবে।
ম্যাপ পয়েন্টিং
ছুটির দিন সকালে একটা গ্লোব বা ম্যাপ নিয়ে বসে পড়তে পারেন সন্তানের সঙ্গে। এক একটি দেশের নাম তাকে খুঁজে বের করতে বলুন। আর সেটা কোন মহাদেশে, সেটাও দেখাতে বলুন। এর থেকে সহজেই ভূগোলে তার দক্ষতা বাড়বে। পর্যবেক্ষণ শক্তিও বাড়বে। ম্যাপ এঁকে তাতে নানা জায়গা চিহ্নিত করতে বলুন, ম্যাপে রঙ করাও শেখান।
আরও পড়ুন: ফেসবুক-ইউটিউবসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি
পেপার আর্ট
কাগজ মুড়ে তাতে রঙ করে নানা রকম জিনিস বানাতে বলুন। কাগজ কেটে ফুল, লতাপাতা, পাখি, গাছ, প্লেন যা খুশি বানাক। রঙিন কাগজ, পিচবোর্ডও দিতে পারেন। ভালো কিছু তৈরি করলে তা ঘরে সাজিয়ে রাখুন। ছোটদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন, কে কত ভালো পেপার আর্ট করতে পারে। এতে ছোটদের উৎসাহ বাড়বে। আর ওই সময়টাতে মোবাইল ভুলে থাকবে।
কাউন্টিং গেম
পুঁতি লাগানো বা মালা গাঁথার মতো কিছু হাতে ধরিয়ে গুনে গুনে গেঁথে ফেলতে বলুন। এতে গুনতেও শিখবে। আবার হাতের জোরও বাড়বে। তবে খুব ছোট পুঁতি না দিয়ে একটু বড় পুঁতি দিন। নিজের সামনে বসে মালা গাঁথান। কারণ অনেক শিশুরই ছোট জিনিস মুখে দিয়েপুরে দেওয়ার প্রবণতা থাকে।
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাওয়া ল্যান্ডফোনের গতি ফিরবে কি আর?
অঙ্কের ধাঁধা
অঙ্কের ধাঁধা তৈরি করে সন্তানকে বলুন সেই ধাঁধার উত্তর দিতে। এতে ওর যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ সহজ ও অনেক পোক্ত হবে। মেন্টাল ম্যাথের বই কিনে দিতে পারেন। দোকান-বাজারের বিলে টাকা মেটানোর সময়ে সন্তানের হাতে টাকা দিন। তাকেই বলুন, হিসাব করে টাকা ফেরত আনতে। এতে কিন্তু তার দায়িত্ব বাড়বে, আবার হিসাব করতেও শিখবে।
]]>