রোববার (২২ ডিসেম্বর) থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় জেলার কচুয়া পৌরসভার আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী শিশু ওই মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী।
কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউল হক ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কাজী মো. আসাদ (৫৫) আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল এবং কচুয়া পৌরসভাধীন ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
১৩ ডিসেম্বর শিশুটি মাদ্রাসার নিচতলায় পানি আনতে গেলে কাজী মো. আসাদ তার রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। পরে ঘটনাটি শিশুটি তার সহপাঠী ও পরিবারকে জানালে তার মা তাকে চিকিৎসার জন্য কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোহেল রানা জানান, শিশুর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ৭ দিন নিবির পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা শেষে (২২ ডিসেম্বর) শিশুটির মা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এ বিষয়ে শিশুটির মা সালমা বেগম জানান, তার মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউল হক বলেন, শিশুটির মা রোববার মামলা করার পর অভিযুক্ত ধর্ষণকারী কাজী মো. আসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ৯ (১) অনুযায়ী বিকালে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।