রোববার (১৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার বর্তমানে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে হুমকি ও সহিংসতার আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যদিও মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালত দণ্ড প্রদান করেছে, অন্যান্য অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যা পরিবারের জন্য বাড়তি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবারটি যে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, তা কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত না। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই, যাতে এই পরিবার আর কোনো সহিংসতা, হুমকি বা হয়রানির শিকার না হয়।
আরও পড়ুন: আছিয়া ধর্ষণ-হত্যায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড, স্ত্রী-সন্তান খালাস
এমজেএফ আরও একবার মনে করিয়ে দেয় যে, এই ঘটনাটি বাংলাদেশের নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতির একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই একটি মেয়ের বিয়ে হওয়া এবং তার বোনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া এ দেশের শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহের মারাত্মক সমস্যাগুলোর প্রমাণ বহন করে। এমজেএফ সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়, এসব অপরাধ প্রতিরোধে এবং দেশের প্রতিটি মেয়েশিশুর নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করতে কী ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নিহত শিশুর পরিবারের প্রতি সংহতি জানায় এবং বিচার, জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।