শ্রীলঙ্কায় দু'দলের ফাইনাল মাঠে গড়াবে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায়।
মঞ্চ প্রস্তুত, শেষ হয়েছে দলের প্রস্তুতিও। এবার অপেক্ষা শুধু মাঠের লড়াইয়ের। ফাইনালের সে মহারণের আগে চোখে মুখে শিরোপার স্বপ্ন লাল সবুজের বাংলাদেশের। সে স্বপ্ন পূরণে অপেক্ষা একটা ম্যাচের।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে সবকটি ম্যাচ জিতে রীতিমতো উড়ছে বাংলাদেশ দল। দীর্ঘদিনের ক্যাম্প আর কোচের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ছাপ ফুটে উঠেছে আসরের প্রথম ম্যাচ থেকেই। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা, নেপাল কিংবা পাকিস্তান সবকটি দলকে নাকানিচুবানি খাইয়ে ফাইনালের মঞ্চে নাজমুল হুদা ফয়সালরা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠে পাকিস্তানকেও দাপটের সঙ্গে হারায় গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
আরও পড়ুন: বিপিএল এখন নাম বদলে বিএফএল
ট্রফির লড়াইয়ে এবার লাল সবুজের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন ভারত। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও এ লড়াইয়ে নিজেদেরই ফেভারিট মানছে বাংলাদেশ। আর টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে ট্রফি জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল।
ম্যাচের আগে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা উচ্ছ্বসিত এবং মোটিভেটেড। তারা ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ভারত অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং দল। তবে আমাদের সুযোগও আছে।’
অধিনায়ক ফয়সাল বলেন, ‘গ্রুপ পর্বে এবং সেমিফাইনালে ভালো খেলে আমরা ফাইনালে এসেছি। ভারত বরাবরের মতোই শক্তিশালী দল। তবে আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্যেই মাঠে নামব।’
আরও পড়ুন: হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে কবে ঢাকায় আসবেন হামজা-শমিত?
অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে এখনো ট্রফির স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। সবশেষ আসরে খুব কাছাকাছি থাকলেও ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরে রানার-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এবার সে প্রতিশোধ নেয়ার পালা ফয়সালদের।
]]>