সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ প্রযুক্তির নানাখাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুরের শিবচরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে 'ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি' গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিশেষায়িত এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ বলছে, ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৯ তলা গবেষণা ভবন, ৩ তলা প্রশাসনিক ভবন; ২টি ডরমিটরি এবং কর্মকর্তাদের জন্য দুটি বাংলোসহ ৬টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। আর ২য় পর্যায়ে মাটির সক্ষমতা বিবেচনায় ৫২-৭১ তলাবিশিষ্ট একটি প্রযুক্তি টাওয়ার নির্মাণেরও পরিকল্পনা ছিল ক্ষমতাচ্যুত সরকারের।
সরেজমিন প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে শিবচরে গিয়ে সময় সংবাদ দেখতে পায়, দুই বছরে অধিগ্রহণ করা প্রায় ৭০ একর জমিতে বালু ভরাটের কাজ অর্ধেকই হয়নি। জমির মাটি তুলে দেয়া হয়েছে দেয়াল।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরের শিবচরে শিফট-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নানা কাজে জুলাই ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪৮ কোটি টাকা। আর ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯২ কোটি টাকা।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রথমে শেখ হাসিনার নাম বাদ দিয়ে প্রকল্পের নাম পুনর্নির্ধারণ করে 'বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি' করা হয়। এবার নামের পর বাদ যাচ্ছে প্রকল্পটির জন্য নির্ধারিত স্থানও।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, পূর্বাচলে প্রকল্পটি স্থাপনের চেষ্টা চলছে। সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রকল্প ব্যয়ে কাটছাঁটের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
জমি অধিগ্রহণ ও কাজ শুরু করেও কেন পরিবর্তন করা হচ্ছে প্রকল্পের নির্ধারিত স্থান? এই প্রশ্নে সচিবের জবাব, স্থানটি যথোপযুক্ত ছিল না। এই স্থানে অন্য কোনো প্রকল্প ভাবা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে নেয়া এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
]]>