পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ক্যাথলিক বিশ্বে দেখা দিয়েছে শোকের ছায়া। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর তাকে রোমের ব্যাসিলিকা ডি সান্তা মারিয়া ম্যাগিওরে সমাহিত করা হয়।
এরপর ৯ দিনের শোক পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন পোপ নির্বাচনের ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়া যা কনক্লেভ নামে পরিচিত। ১৩৫ জন কার্ডিনাল একত্রিত হবেন নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য।
প্রতি পোপের মৃত্যুর পর কনক্লেভ আয়োজন ক্যাথলিক চার্চের একটি গভীর ঐতিহ্য। এটি শুরু হয় সিস্টিন চ্যাপেলে, যেখানে কার্ডিনালরা গোপনীয়তার শপথ নেন। ‘এক্সট্রা ওমনেস’ ঘোষণার মাধ্যমে বাইরের সকলকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: রোমে সমাহিত হলেন পোপ ফ্রান্সিস
এরপর দুপুর ও বিকেলে দুটি করে প্রতিদিন চারটি করে ভোট হয়। নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে কার্ডিনালদের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট পেতে হবে। ভোটের পর চিমনির ধোঁয়ার রঙ দেখে সিদ্ধান্তের অগ্রগতি জানানো হয়। কালো ধোঁয়া মানে সিদ্ধান্ত হয়নি, আর সাদা ধোঁয়া মানে নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন।
পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচিত ব্যক্তি যদি সম্মত হন, তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন কিনা। সম্মতি জানালে তিনি হবেন ক্যাথলিক চার্চের ২৬৭তম ধর্মগুরু।
তাকে একটি নতুন নাম দেয়া হবে, যেটি হবে তার পোপ নাম। এরপর তিনি প্রথমবার জনসমক্ষে আসবেন সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দায়। আর উচ্চারিত হবে সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা ‘হাবেমুস পাপাম’ যার অর্থ হল আমরা পেয়েছি আমাদের পোপ।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ঢল
বিশ্বের কোটি কোটি ক্যাথলিকদের কাছে পোপ শুধু একজন ধর্মীয় নেতা নয়, বরং এক বিশ্বাসের প্রতীক। নতুন পোপের নেতৃত্বে ক্যাথলিক চার্চের ভবিষ্যৎ পথচলা শুরু হবে।
তার নির্বাচনের মাধ্যমে পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার এবং চার্চের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হবে। নতুন পোপের নেতৃত্বে কীভাবে পথ চলবে ভ্যাটিকান ও ক্যাথলিক বিশ্ব, সেটিই এখন সকলের প্রতীক্ষার বিষয়।