শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ফেনীতে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

২ দিন আগে
ফেনীর দাগনভূঞায় একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মঈন উদ্দিন চৌধুরী নামে উচ্চ বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈন উদ্দিন চৌধুরী। 

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম এ বরখাস্তের আদেশ দেন।


ইউএনও স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়- ফেনীর মহিপাল চাড়িপুর এলাকায় মঈন উদ্দিন চৌধুরী নিজের বাসার এক ভাড়াটিয়ার ১২ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে কৌশলে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মঈন উদ্দিনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। 

এরপর এ ঘটনায় এলাকার লোকজন ও দক্ষিণ নেয়াজপুর মকবুল আহামদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার শাস্তি দাবিতে আন্দোলনে নামে। এসময় তারা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ করে। এছাড়া ভুক্তভোগী একাধিক পরিবার থেকে দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। এসব প্রতিবাদ থেকে ওই প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও বিদ্যালয় থেকে অপসারণ দাবি জানানো হয়। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। 

আরও পড়ুন: ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগ, ঢাবি শিক্ষক হালিম কারাগারে

তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে সবশেষ ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এছাড়া মামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে এর কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান।


এদিকে দক্ষিণ নেয়াজপুর মকবুল আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মঈন উদ্দিনের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। 


প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কাণ্ডে বার বার বিদ্যালয় ও এলাকায় আন্দোলন হয়েছে। তার কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানান ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আবু তাহের। 


তিনি বলেন, ‘নৈতিকতার দিক বিবেচনা করলে প্রধান শিক্ষক আর বিদ্যালয়ে থাকতে পারবেন না।’


সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, এ ঘটনার পর থেকে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে খবর নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষকের। মঈন উদ্দিন বিদ্যালয়ে গেলে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কাও জানান তিনি।


আগেও বেশ কয়েকবার ছাত্রদের যৌন হয়রানিসহ আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগ ওঠে এ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। কয়েকবার এলাকাবাসী তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয় ও মারধর করে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন