শিক্ষার্থী হত্যা: থানায় সালিসে গিয়ে গ্রেফতার হলেন আইনজীবী

৩ সপ্তাহ আগে
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে থানায় একটি সালিস বৈঠকে গিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা মামলায় জাবেদ হোসেন মনোয়ার নামে এক আইনজীবী গ্রেফতার হয়েছেন।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


এর আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে তাকে রামগঞ্জ থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করে পুলিশ।


জাবেদ হোসেন মনোয়ার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার ইব্রাহিম খলিলের ছেলে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন আইনজীবী জানান, জাবেদের শ্বশুরবাড়ি রামগঞ্জে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সালিস ছিল রামগঞ্জ থানায়। সেখানে সালিস করতে গেলে তাকে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়।


আরও পড়ুন: তাহেরীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলায় ৬ পুলিশ আহত, গাড়ি ভাঙচুর


রোববার তাকে আদালতে ওঠানো হলে জামিন আবেদন করা হয়। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, ‘একটি হত্যা মামলায় জাবেদকে থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।’


সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘আফনান হত্যা মামলায় জাবেদ নামে এক আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। চার শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় এ পর্যন্ত ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’


আরও পড়ুন: পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা গ্রেফতার


প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি ছোড়ে। এতে মাদাম ব্রিজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, তমিজ মার্কেট এলাকায় সাব্বির হোসেন, ওসমান গণি ও কাউছার হোসেন নিহত হন। এ হত্যার ঘটনায় ১৪ আগস্ট আফনানের মা নাছিমা আক্তার ও সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।


এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়ও একটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করে এজাহার দায়ের করা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন