শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবড়িতে থাকলে প্রার্থী হওয়া যাবে না: ইসি সানাউল্লাহ

৩ সপ্তাহ আগে
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবড়িতে সভাপতি কিংবা সদস্য হিসেবে থাকলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে আদালত কতৃক ফেরারি আসামি ঘোষিত ব্যক্তিরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমন বিধান যুক্ত করে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

 

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, লাভজনক পদে যারা আছেন, যারা সরকারি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার আছে এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

 

‎তিনি আরও বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, কেন্দ্র বন্ধ বা চালু রাখার। এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন। আর এবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আরপিও থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

নির্বাচনের প্রতীক নিয়ে সানাউল্লাহ বলেন, কোনো দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র দাঁড়াতে পারবে কি না সেটা সময় বলে দেবে।

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রশ্নে যে বার্তা দিলো ইসি

 

অন্যদিকে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও, নিজ নিজ দলের প্রার্থীরা তাদের দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।

 

মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচিত হয়েও সংসদ সদস্য পদ হারাতে হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, হলফনামায় তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য দিলে ইসি পরে ব্যবস্থা নিতে পারবে, দোষ প্রমাণ হলে সেই ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদও হারাবেন।

 

ইভিএম এবং ভোটের জামানত বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এবার ইভিএম সংক্রান্ত সকল বিধান বাতিল করা হয়েছে। পোস্টাল ব্যালট হবে প্রতীকের ব্যালট। আর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে সেই আসনের ব্যালটে ‘না’ ভোট থাকবে বলেও জানান তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন