জাতীয়বাদী শিক্ষক ফোরামের নেতারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বুধবার সকাল থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা এ ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলিম এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. খলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। তাই দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় সচল রাখতে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সচল রাখার স্বার্থে আজই কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি। আশা করি আজ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ১৬ তারিখেই যাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেভাবেই প্রস্তুতি চলছে। আর পেছানোর শঙ্কা নেই। আমরা শক্তভাবেই চাই নির্বাচন যথা সময়ে হোক।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের কমপ্লিট শাটডাউনে স্থবির রাবি, থমথমে ক্যাম্পাস
এদিকে, উপ-উপাচার্যের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আগামী ৭ কার্যদিবসের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. মাসুদ রানা জানান, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে তারা আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করছেন।
এদিকে শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। তারা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: সব ক্ষেত্রে তরুণদের নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের
গত ২০ সেপ্টেম্বর পোষ্য কোটাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এর জেরে রাকসু নির্বাচনও পিছিয়ে যায়। ইতোমধ্যে ঘটনাটি তদন্তে দু’টি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।