রোববার (৩ জুলাই) বিকেল ৫টায় গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্যাপক হারে বেড়ে যায় ছিনতাই। প্রতিরোধে শনিবার (২ জুলাই) যুবসমাজের ব্যানারে ছিনতাই বিরোধীরা প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শাড়ি ও চুড়িসহ মিছিল নিয়ে থানায় গিয়ে অবস্থান নেয়। এই সময় পুলিশ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা। স্লোগানের ভেতর ছিল, ছিনতাই মুক্ত ভৈরব দে, নইলে শাড়ি নে চুড়ি নে। ওই সময় মিছিলকারীরা ওসি ফুয়াদ রুহানীকে তিন দিনের আলটিমেটাম দেয়। এরপর ওই দিন রাতেই অভিযানে নামে পুলিশ। ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন মামলার ২৩ জনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অভিযানে আটক ছিনতাইকারীরা হলেন: সবুজ (২৩) হেলাল (২৫), নাঈম (২৩), রায়হান (২০), আরাফাত (৩৩), ওসমান (১৮), সোহেল মিয়া (২৮), মো. ফুল মিয়া (৩৬), হৃদয় (২৫), রনি মিয়া (৩২), বিল্লাল মিয়া (২০),সানি (৩৩), বিজয় (২৮), সুমন (২০), মাহিন (২১), নামিন (২০), মনির হোসেন (২৮), ফরহাদ (২৫), আকাশ (৩২), গোলাম মোস্তফা (৪২), জনি (২৬), দুলাল (৪৫)।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের অভয়ারণ্য পূর্বাচল, নিরাপত্তা নেই দিনেও!
উল্লেখ্য, শনিবার (২ আগস্ট) সকাল পৌনে ৬টায় দিনের আলোয় জনসম্মুখে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া একটি পরিবার। অসুস্থ বাবাকে চিকিৎসা দিতে সকাল ৬টায় ঢাকাগামী তিতাস ট্রেনে যেতেই পৌর কবরস্থানের সামনে ছিনতাই কবলে পড়ে পরিবারটি। এসময় তাদের আহত করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ছয় সদস্যের ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। পরে ভুক্তভোগীররা সকালে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে এএসআই ফরিদুজ্জামান অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। থানায় প্রতিকার না পেয়ে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী অসুস্থ বাবার ছেলে ফারদিন খান। পরে ভৈরবে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ভৈরবের ছাত্র ও যুব সমাজের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রুহানি বলেন, ভৈরবে চুরি ছিনতাই বেড়েছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু ভৈরব থানা পুলিশ প্রতিদিন কোনো না কোনো চোর-ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করছে। তবে তারা বেশিদিন কারাগারে থাকে না। সহজেই জামিনে বেরিয়ে আসে। গতরাতে অভিযান চালিয়ে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ছিনতাইকারী সহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩ জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।