দুবাইতে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। টাইগারদের পক্ষে ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
দুদলের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ। জিতলে ফাইনাল, হারলে বিদায়। এমন সমীকরণে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। তাসকিন, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসানদের তোপে ক্রিজে দাঁড়াতেই পারছিল না পাকিস্তান। ৪৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। কিন্তু এরপর ফিল্ডিংয়ে হঠাৎ ছন্দপতন হয় টাইগারদের। তিনবার জীবন পেয়ে ২টি ছক্কা হাঁকান শাহিন আফ্রিদি। এক জীবন পেয়ে ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন নাওয়াজ। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় সালমান আলীর দল। অথচ সুযোগ ছিল শতরানের আগে আটকে দিয়ে সহজে জয় তুলে ফাইনাল নিশ্চিত করার।
ইনজুরির কারণে এদিনও টাইগার শিবিরে নেই নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ভারতের পর এ ম্যাচে নেতৃত্ব সামলাচ্ছেন জাকের আলী অনিক। টস জিতে তিনি ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বল হাতে শুরুটাও দুর্দান্ত ছিল লাল সবুজদের।
ইনিংস শুরুর প্রথম ওভারে তাসকিন আর দ্বিতীয় ওভারে উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান। দলের খাতায় ৫ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৪ বলে ৪ রান করে ইনিংস শুরুর প্রথম ওভারে তাসকিনের শিকার হন সাহিবজাদা ফারহান। পরের ওভারে মেহেদীর বলে রিশাদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাইম আইয়ুব (০)। তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ফখর জামান ও সালমান আলী আঘা। তবে এ জুটিকে ক্রিজ আঁকড়ে ধরতে দেননি রিশাদ।
আরও পড়ুন: আমাকে ধরতে চাইলে আপনারাও ধরা পড়বেন, তামিমের হুঁশিয়ারি
দলীয় ২৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। সপ্তম ওভারে আক্রমণে আসা রিশাদকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়েন ফখর। ২১ বলে ২ চারের মারে ১৩ রানে থামেন এ ওপেনার। এক ওভার পর আক্রমণে এসে আবার হানা দেন রিশাদ। ৭ বলে ৩ রান করে তার বলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন হুসাইন তালাত।
দলকে বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক সালমানও। ২৩ বলে ২ চারের মারে ১৯ রান করে ইনিংসের একাদশ ওভারে মোস্তাফিজের বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি। পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান। এরপর ক্রিজে নেমে তিনবার জীবন পেয়ে ১৩ বলে ২ ছক্কার মারে ১৯ রান করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। অষ্টম উইকেটে বিপর্যয় কাটিয়ে দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করে দলীয় ১০৯ রানে বিদায় নেন হারিস। ১৫ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৫ রান করে কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন নাওয়াজ। ৯ বলে ১৪ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ফাহিম আশরাফ।
আরও পড়ুন: তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের একশ উইকেট
লাল সবুজদের পক্ষে ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪.৫ ইকোনমিতে মাত্র ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী। ৩৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ২৮ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব।
]]>