মুম্বাই শহরের হেরিটেজ স্থাপত্যের মধ্যে পড়ে মান্নাত। তবে তা কাগজে কলমে পাকাপাকি করতে চেয়েছিলেন বলিউড কিং ও তার স্ত্রী। সে কারণে বাড়ির বাইরের দিক থেকে রদবদল আনতে গেলে প্রয়োজন নগর প্রশাসনের অনুমতি।
সেজন্য প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন গৌরী। অবশেষে ছাড়পত্র পেলেন তারকা-পত্নী। ফলে এবার শাহরুখের মান্নাতে আসতে চলেছে বড়সড় বদল।
২৭ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর অবস্থিত মান্নাত। বাড়ির মধ্যে মকবুল ফিদা হোসেনের আঁকা ছবি ছাড়াও প্রচুর বহুমূল্য সামগ্রী রয়েছে। মান্নাতের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০০ কোটি রুপি। বাড়ির ভিতরে জেড পাথরের গণপতি, প্যারিস থেকে আনানো চার ফুট লম্বা এক জোড়া কালো ফুলদানি, রাধাকৃষ্ণের বিশাল ভাস্কর্য-সহ আরও কিছু ঘর সাজানোর জিনিস।
এরপর শাহরুখের ইচ্ছায় পরবর্তীতে গৌরী এর ভেতরেই তৈরি করেছিলেন একটি সিনেমা হল। একসঙ্গে ৪২ জন দর্শক বসে ছবি দেখতে পারবেন সে প্রেক্ষাগৃহে। তার প্রবেশদ্বার সাজানো রয়েছে তিনটি হিন্দি ছবির বিশাল পোস্টারে। ছবিগুলো হল ‘শোলে’, ‘রাম অউর শ্যাম’ এবং ‘মুঘল-এ-আজম’। এছাড়াও একাধিক শয়নকক্ষ, বাগান, ব্যক্তিগত কোয়ার্টার রয়েছে।
এবার যুক্ত হতে চলেছে আরও দু’টি তলা, অর্থাৎ তাদের ছয়তলা বাড়িটি এবার আটতলা হতে চলেছে। যা তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি রুপি।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেন, যখন তিনি এই বাড়িটি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন তার সঞ্চয় ছিল ২ কোটি টাকা। আর মান্নাতের পেছনে খরচ ছিল ৩০ কোটি টাকা। বাকি ২৮ কোটি টাকা তিনি লোন নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দাম্পত্য সমস্যা দূর করার কৌশল জানালেন শাহরুখ
শাহরুখ খানের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র সাফল্য এবং অভিনেতার কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টার ফলে বাড়ির বাকি থাকা ২৮ কোটি টাকার ঋণ মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই পরিশোধ করে দেন। সেই মান্নাতের মূল্য এখন ২০০ কোটি টাকারও বেশি।
আরও পড়ুন: ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে ‘পুষ্পা টু’র আয়
]]>