শাহবাগ বিরোধী ছাত্র-ঐক্যের মিছিলে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ

১ সপ্তাহে আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শাহবাগ বিরোধী ছাত্র-ঐক্য’র শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বুধবার (২৮ মে) রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন এক বিতর্কিত অধ্যায়। এই আন্দোলনের মাধ্যমে বামপন্থী সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনের ভিত্তি রচনা করে। গণজাগরণ মঞ্চের নামে নাটক মঞ্চস্থ করে বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়, যার ফলে দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট রায় দেয়া হয়। শাহবাগের মদদে চালানো হয় শাপলায় গণহত্যা। শাহবাগ আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।’


বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন প্রেক্ষাপটে রাবির সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী সংগঠনসমূহ ‘শাহবাগ বিরোধী ছাত্র-ঐক্য’ গঠন করে, যেখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরও সংহতি প্রকাশ করে। মঙ্গলবার ঐক্যের পূর্বনির্ধারিত ৭:৪০-এর শান্তিপূর্ণ মিছিলে আমাদের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পরিবহন মার্কেটে সমাবেশে মিলিত হলে, হঠাৎ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিব, ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর নেতা শাহরিয়ার আলিফের নেতৃত্বে বাম সংগঠনের একদল উগ্র নেতাকর্মী মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে হামলা চালায়। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হন এবং সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।


আরও পড়ুন: শাহবাগে সমাবেশের ডাক জুলাই ঐক্যের


তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে বাম সংগঠনগুলো সহিংস রাজনীতির চেহারা আবারও উন্মোচিত করেছে। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি এবং দোষিদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তারা নিজেদের কর্মসূচি ৭:৩০-এ ঘোষণা করলেও ইচ্ছাকৃতভাবে ৮:৪০-এ মাঠে নেমে হামলার সুযোগ নেয় এবং পরে নিজেদের ‘ভিকটিম’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে।’


নেতারা আরও বলেন, ‘ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করলেও, আমরা গভীর উদ্বেগে লক্ষ্য করেছি যে, ঘটনা শেষ হতে না হতেই তদন্ত ছাড়াই ছাত্রদল ছাত্রশিবিরকে দায় করে বিবৃতি দেয়। এতে মনে হয়, ঘটনা তাদেরই পূর্বপরিকল্পিত বা ‘স্ক্রিপ্টেড’।’


তারা বলেন, ‘এক সময় বাম সংগঠনগুলোর সহিংস রাজনীতিতে ছাত্রলীগ যেভাবে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করত, আজ সেই একই ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে রাবি ছাত্রদলকে। আমরা ছাত্রদলসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানাই, দায় চাপানোর পুরনো খেলা বন্ধ করে সুস্থধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন। পাশাপাশি, ফ্যাসিবাদের দোসর বাম সংগঠনগুলোকেও সহিংসতা পরিহার করে ছাত্রবান্ধব রাজনীতির পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন