শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সময় সংবাদকে তিনি এ কথা বলেন।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনের অগ্নিকাণ্ড স্যাবোটাজ কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ কাস্টমসের অনেক জব্দ পণ্য এখানে থাকে। তবে এগুলো নানান সময়ে নানানভাবে বেরিয়ে যায়, অনেক চক্র এর সঙ্গে জড়িত। এগুলো ধামাচাপা দেয়ার জন্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখা দরকার।
কারা করেছে-- এমন প্রশ্নে ফজলে শামীম এহসান বলেন,
ভেতরের মানুষই করেছে। এখানে তো বাইরের কেউ ঢুকতে পারে না। এখান থেকে আমাদের অনেক পণ্য চুরি হয়ে যায়। ভেতরের লোকের সঙ্গে বাইরের লোকেরা মিলিয়েই এই কাজগুলো করে।
আরও পড়ুন: শাহজালালের অগ্নিকাণ্ডে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি, বড় সংকটের শঙ্কা: নুরুল কবির
অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি কতটুকু, কাটিয়ে ওঠা সম্ভব কিনা-- এমন প্রশ্নে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, ‘বিষয়টা একটু অন্য রকম। ক্ষয়ক্ষতি কেমন, তা এখনও আমরা জানতে পারিনি। তবে খবরে যেটা দেখলাম, তাতে সেখানে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখানে আমাদের ২ রকমের সমস্যা হবে। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হব বড় আকারের। এ ছাড়া, বায়ারদের কাছে বা সাপ্লায়ারদের কাছে ভয়াবহ ইমেজ সংকটের মুখে পড়ব। কারণ আমাদের যে ইনস্যুরেন্স সিস্টেম বা ক্ষতিপূরণটা কে দেবে বা কীভাবে দেবে, সেটা নিয়ে একটা বড় সমস্যা দেখা দেবে।’
‘আমরা বিমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি করি। দেখা গেল, ৫ হাজার ডলারের হয়তো একটা বোতাম ছিল কিন্তু এর জন্য ৩ লাখ ডলারের একটা পণ্য হয়তো স্টক হয়ে যাবে। আমাদের ক্ষতিটা দুইভাবে নির্ণয় করতে হবে, পণ্যের পরিমাণ বা তার মূল্য এবং এর সঙ্গে সামগ্রিক ইফেক্ট। যেমন- বোতাম না লাগালে তো ওই পণ্য রফতানি করতে পারব না’, যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাহজালালে এক যুগে যত অগ্নিকাণ্ড
কার্গো সেকশনে অব্যবস্থাপনা নিয়ে ফজলে শামীম এহসান বলেন,
আমরা যখন বিমানে যাই, তখন দেখতে পাই কী পরিমাণ অব্যবস্থপনা রয়েছে। আগুন লাগার পর কীভাবে নেভাবে সেটা নেই। পানির পাইপ নষ্ট। বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান কেপিআইয়ে ফায়ার ফাইটিং কাজ করে না-- এর জন্য কে দায়ী? কাকে জেল দেবেন? কাকে শাস্তি দেবেন? আমরা আসলে হতভম্ব হয়ে গেছি। এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করা সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ প্রত্যেককেই এখন জেলে নেয়া উচিত! তারা এভাবে কীভাবে কাজ করে! আমরা আসলে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি!
প্রসঙ্গত, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন লাগার খবর পেয়ে একে একে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। অংশ নেয় সেনা, বিমান, নৌবাহিনী ও বিজিবির বিভিন্ন ইউনিটও।
জানা যায়, অল্প সময়ের মধ্যেই বেড়ে যায় আগুনের তীব্রতা। আগুন থেকে বাঁচাতে উড্ডয়নের অপেক্ষায় থাকা উড়োজাহাজগুলো নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
৬








Bengali (BD) ·
English (US) ·