মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। পরে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। নিহত লিটন শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিটন বাজারে একটি ঢেলাগাড়িতে শুয়ে ছিলেন। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একদল আওয়ামী লীগ কর্মী তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বোমা বিস্ফোরণে মুহুর্মুহু কাঁপল শার্শা, আতঙ্ক
শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহীর জানান, লিটন দলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একই গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাদক কারবার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ কর্মী সেলিম, মোমিন ও রমজানসহ কয়েকজন লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
এর আগে রোববার রাতে একই উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া গ্রামে ককটেল হামলায় আব্দুল হাই নামে আরও এক বিএনপি কর্মী নিহত হন।
]]>