শান্তর সঙ্গে কোনো শত্রুতা আছে কি-না, পাকিস্তানের সাবেকের প্রশ্ন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও পরের দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে একটা ম্যাচেও জয়ের মুখ দেখল না টাইগাররা। লিটন দাসের দল হেরেছে তিন ম্যাচেই। ধবলধোলাই হওয়ার পথে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশি হারের লজ্জার বিশ্বরেকর্ডও নিজেদের দখলে নিয়েছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজজুড়েই সরব ছিলেন বাসিত আলী। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দুই দলের খেলার খুঁটিনাটি দিক নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গেছে তাকে। গতকাল (রোববার) সিরিজের শেষ ম্যাচেও পাকিস্তান মোহাম্মদ হারিসের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে। বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমের ওপেনিং জুটি। মাত্র ১০.৪ ওভারে ১১০ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। কিন্তু এরপর আর কেউই দলের হাল ধরতে না পারায় আশানুরূপ সংগ্রহ পায়নি টাইগাররা।

আর এ কারণেই নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতি তার নজর কেড়েছে। টাইগারদের ওয়ানডে ও টেস্টের অধিনায়ককে তিন ম্যাচের একটিতে একাদশে না দেখে অবাক হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে ম্যাচ সিনারিও অনুশীলন বাংলাদেশের

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাসিত বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৬ রান করেছে আগে ব্যাট করে। তারা অনেক ভালো ব্যাট করেছে, অনেক ভালো। এর আগে তারা যে ব্যাটিং করেছে ১৪৪, ১৬৪ রান করত। ১৯৬ অনেক ভালো রান। পরে প্রথম ওভারেই সাহিবজাদাকে ফিরিয়েছে। মনে হচ্ছিল অনেক ভালো করছে। পরে পাকিস্তান ১৬ বল বাকি থাকতে জিতে গেল। পারভেজ হোসেন ইমন ৩৪ বলে ৬৬ করেছে, তানজিদ ২ ম্যাচেই ভালো করেছে ৪২ রান করলো। ১১০ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর সব একসাথে পড়ে গেছে। লিটন দাস ২২ করেছে, হৃদয় ২৫, জাকের আলী ১৮ রান। শুরুর দিকে ভালো ভীত পেলেও পরে তার ফায়দা লুটতে পারেনি পরের দিকের ব্যাটাররা।’

শান্তকে একজন ম্যাচ উইনার হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাকে একাদশে না খেলানোয় টাইগার ম্যানেজমেন্টকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বাসিত, 'শান্তকে খেলানো হচ্ছে না। কোনো শত্রুতা আছে? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যখন লিটন দাসকে ড্রপ করা হলো তখন বলেছিলাম, ভুল করেছে। এই দফায় শান্তকে খেলাচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি না শান্তর মতো ম্যাচ চেঞ্জারকে তিন ম্যাচেও বাইরে বসিয়ে রাখা হলো, ফিল্ডিং করল শুধু। এটা আমার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ মনে হচ্ছে।'

]]>