গতকাল উস্টারের কাউন্টি গ্রাউন্ডে চতুর্থ ওয়ানডেতে ১৪৩ রান করার পথে সূর্যবংশী মাত্র ৫২ বলে সেঞ্চুরি করেন। তাতে যুব ওয়ানডের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান বনে যান তিনি। আগের রেকর্ডটি পাকিস্তানের কামরান গুলামের, ৫৩ বলের রেকর্ডগড়া ইনিংসটি ২০১৩ সালের। গুলামের আগে প্রায় ৭ বছর রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের দখলে। সূর্যবংশীর মতো এই দুজনের রেকর্ডের প্রতিপক্ষ ওই একটিই—ইংল্যান্ড।
সূর্যবংশী এদিন দখলে নেন নাজমুল হোসেন শান্তর একটি বিশ্ব রেকর্ডও। ১২ বছর আগে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে যুব ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন শান্ত। তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর ২৪১ দিন। সূর্যবংশীর সেঞ্চুরিটি ১৪ বছর ১০০ দিন বয়সে, অর্থাৎ যুব ওয়ানডের ইতিহাসে এখন তিনিই কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান।
সূর্যবংশীর আগের তিন ম্যাচের স্কোরগুলো যথাক্রমে ৪৮, ৪৫ ও ৮৫। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (৭ জুলাই)। সূর্যবংশী ওই ম্যাচে ২০০ করতে চান। এই অনুপ্রেরণা তিনি পেয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গিলের ২৬৯ রানের ইনিংস দেখে। গিল এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওই ডাবল সেঞ্চুরি করেন।
আরও পড়ুন: যুবরাজ সিংয়ের বাবার দৃষ্টিতে গিলের ট্রিপল সেঞ্চুরি মিসটি ফৌজদারি অপরাধ
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সূর্যবংশী বলেন, ‘শুভমানের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। কারণ চোখের সামনে তার খেলা দেখেছি। ১০০ এবং ২০০ করার পরেও হাল ছাড়েননি। নিজের ইনিংস আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমি চেষ্টা করব পরের ম্যাচে ২০০ করতে। পুরো ৫০ ওভার খেলার চেষ্টা করব। আমি যত বেশি রান করব ততই দলের ভাল হবে। কীভাবে পুরো ম্যাচ খেলা যায় সেটার ওপর আরও মনোযোগ দিতে হবে।’
সূর্যবংশী আরও বলেন, ‘আমি আরও বেশি সময় ব্যাট করতে পারতাম। হাতে অনেক সময় ছিল। যখন আউট হলাম, তখনও ২০ ওভার খেলা বাকি ছিল। তাই আমার উচিত ছিল আরও বেশি সময় খেলা। যে শটে আউট হয়েছি ওটা ১০০ শতাংশ ঠিক ছিল না। ঠিক করে খেলতে পারিনি।’