সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, শহীদ রিজভীর ছোট ভাই রিমনের ওপর আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর হামলাকারীদের এবং পটুয়াখালীর শহীদ জসিম হাওলাদারের কিশোরী কন্যা লামিয়ার ধর্ষক-খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলার অন্যতম সংগঠক মুহাম্মাদ যাইনুল আবিদীন ফারহাত বলেন, ‘সরকার ভুলে গেলে চলবে না, শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজকের ক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। জাতির ছাত্র-জনতা যেভাবে স্বৈরাচার সরকারকে তাড়িয়েছে, প্রয়োজনে বর্তমান সরকারকেও তাড়াতে পিছপা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইন উপদেষ্টাকে মনে রাখতে হবে, ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আসন ফ্যাসিস্ট সরকার পুনর্বাসনের জন্য নয়। শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করবেন?’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে আপ বাংলাদেশের বিক্ষোভ
বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্ম বিদ্বেষ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। বক্তারা আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে সম্ভাব্য সব উপায়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
পিলখানা হত্যা, মোদী বিরোধী আন্দোলন, আল্লামা সাঈদীর রায় পরবর্তী গণহত্যাসহ জুলাই গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বক্তারা বলেন, এসব ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ আলম, জান্নাতুল ফেরদাউস রুমি, ইমাজ উদ্দিন ইমন, আবদুর রহমান, জুনায়েদ হোসেন আপনসহ নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার সংগঠকরা।
]]>