শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে উদ্বোধন হচ্ছে চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

১ সপ্তাহে আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে উদ্বোধন হচ্ছে নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায়ের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।


চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরাম। তার সম্মানে এই নামকরণ করা হয়েছে। ১৬ জুলাই আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। সন্ত্রাসীদের গুলিতে মুরাদপুরে সেদিন তিন তিনটি প্রাণ ঝরে পড়ে। স্বৈরাচার হাসিনার দোসর ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে ওইদিন শহীদ হন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াসিম আকরাম।’


মো. নুরুল করিম আরও বলেন, ‘উদ্বোধনের পর টোল প্রদানের মাধ্যমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবেন জনসাধারণ। বর্তমানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলাচল করলেও কোনো টোল দিতে হয় না। শুরুতে এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি টোলের বুথ থাকবে। ধীরে ধীরে নগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে ১০টি টোলবুথ বসানো হবে।’


কোন গাড়িতে কত টোল দিতে হবে


নগরের লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। সিএনজিচালিত ট্যাক্সি চালকদের টোল দিতে হবে ৩০ টাকা। কারের টোল ৮০ টাকা, জিপ গাড়ি ও মোইক্রোবাসের টোল ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও চার চাকা ট্রাক ২০০ টাকা করে, বাস ২৮০ টাকা, ছয় চাকার ট্রাক ৩০০ টাকা, কাভার্ডভ্যান চলাচলে ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।


আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল কত?


সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে টোল আদায়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। এখন থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে টাকা দিতে হবে। নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায় করা হবে। এখন সিডিএ টোল আদায় করবে। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হবে।’


আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সাড়ে ৯ মাস পর পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে।


২০১৭ সালে অনুমোদন হওয়া এই প্রকল্পের কাজ সাড়ে সাত বছরেও পুরোপুরি শেষ করতে পারেনি সিডিএ। এখন পর্যন্ত শুধু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওঠানামার জন্য ১৫টি র‍্যাম্প নির্মাণ করার কথা। তবে সরকার পরিবর্তনের পর ছয়টি র‍্যাম্প বাদ দেয়া হয়েছে। বাকি ৯টির মধ্যে ১টির কাজ শেষ হয়েছে, অন্য ৮টির কাজ চলমান রয়েছে। এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।


২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর নগরের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে উদ্বোধন হলেও তখন গাড়ি চলাচল শুরু হয়নি। গত বছরের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন