মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে রফিক সরদারের স্ত্রী রুমা পালং মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে সোমবার (৫ মে) রাত ১০টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রফিক সরদার ও রশিদ সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ক্ষমতাসীন দলের নেতা রশিদ সরদার দীর্ঘদিন ধরে জমিটি জোরপূর্বক দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন রফিক সরদার।
রফিক সরদারের দাবি, সম্প্রতি তিনি ওই সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে সোমবার রাতে রশিদ সরদার ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এতে রফিক সরদার ও তার স্ত্রী রুমা সরদার আহত হন। হামলাকারীরা তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তারা।
আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বালু উত্তোলন ও পদ্মা নদীতে স্থায়ী বাঁধের দাবিতে মানববন্ধন
ভুক্তভোগী রফিক সরদার বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় আওয়ামী লীগের আমলে আমার কিছুই করার ছিল না। এখন জায়গা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে রশিদ সরদার ও তার লোকজন হামলা চালায়। আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন, ঘরবাড়ি লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার বিচার চাই।’
রুমা সরদার বলেন, ‘রাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে বাইরে বের হই। রশিদ সরদার ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। কানে ও হাতে আঘাত পেয়েছি। দোষীদের বিচার চাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করে রশিদ সরদার বলেন, ‘আমি কাউন্সিলর থাকাকালীন কখনও ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। এখন তো আমি কাউন্সিলরও না। এটি জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ। তারা নিজেরাই বাড়ি ভেঙে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>