রোববার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল র্যাব-৮ এর মিডিয়া অফিসার অমিত হাসান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার বোমা কুদ্দুসের নামে জাজিরা থানায় ১৯টি ও রাজধানীর বিমানবন্দর ও ভাটারা থানায় একটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ভোরে র্যাব-৮ সিপিসি-৩ মাদারীপুর এবং র্যাব-৩ এর সিপিএসসি ঢাকা ক্যাম্পে যৌথ অভিযানে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার মুমিনবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৭
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, শরীয়তপুরের বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বোমা কুদ্দুস ও জলিল মাদবর প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনে বোমা কুদ্দুস জয়ী হলেও দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। আগেও তারা একাধিকবার সংঘাতে লিপ্ত হয়েছিলেন এবং এতে কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছিলেন।
এরই প্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টায় দুগ্রুপ এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। যে মামলায় ছায়া তদন্ত করে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে বালতি হাতে হেলমেট পরে শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ!
শহরের রুপাতলীতে র্যাব কার্যালয়ে বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. নিস্তার আহমেদ জানান, রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুর থানাধীন মুমিনবাগ এলাকা থেকে কুদ্দুস বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাজিরা থানাধীন বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে কুদ্দুস বেপারী ওরফে বোমা কুদ্দুস জয়ী হলে পরাজিত প্রার্থী জলিল মাদবরের অনুসারীদের মধ্যে চরম বিরোধে চলে আসছে। উভয়পক্ষের একাধিকবার সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহত ও বহু লোক আহত হন। যার সর্বশেষ শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে উভয়পক্ষ নজিরবিহীন বোমা বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
গ্রেফতার কুদ্দুস বেপারীর বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় বিভিন্ন অপরাধে ১৯টি এবং ঢাকার বিমানবন্দর ও ভাটারা থানায় একটি করে মামলা রয়েছে জানিয়ে জাজিরা থানায় আসামিকে সোপর্দ করা হবে বলে জানায় র্যাব।