মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। এ সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তারা হলেন: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুণ্ডের চর গনিমল্লিককান্দি এলাকার আয়নাল হক দেওয়ান (৫০), আহম্মদ মাঝিকান্দি এলাকার শাহিন শেখ (৩০), মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চর আব্দুল্লাহপুর এলাকার মহাসিন সরকার (৪০), বানিয়াল মহেষপুর ঢালীকান্দি এলাকার ফরিদ গাজী (৩০), মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ফাজিল মোল্লারকান্দি এলাকার হিরন তালুকদার (৩০)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে গণধোলাই খাওয়া ‘ডাকাতের’ মৃত্যু
শরীয়তপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক শিমুল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে পাঁচ আসামিকে শরীয়তপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জব্বার হোসেন তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কার্তিক চন্দ্র ঘোষ আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কীর্তিনাশায় ডাকাতি, আরও একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা
উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় ডাকাত দল বাল্কহেড ডাকাতির চেষ্টা করলে জনতার ধাওয়া মুখে পড়ে। এ সময় কীর্তিনাশা নদী দিয়ে স্পিডবোট নিয়ে পালিয়ে শরীয়তপুরের ডোমসারের তেঁতুলিয়া এলাকায় এলে জনতা আবার তাদের গতিরোধ করে। এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোক আহত হন। পরে আটজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। এরমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়।