নিহত সুজন সাহা দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার হরিদাস সাহার ছেলে এবং আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুজন সাহার সঙ্গে তার চাচাতো ভাই ব্যবসায়ী শান্তিরঞ্জন সাহার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আবারও দুপক্ষের মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে শান্তিরঞ্জনের দোকানের কর্মচারী লোকমান হোসেন লাঠি দিয়ে সুজন সাহার মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে বিএনপি কর্মীর বাড়িতে আ.লীগ নেতার হামলার অভিযোগ
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সুজন সাহার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে নিহতের স্বজনরা শান্তিরঞ্জনের বড় ভাই মানিক সাহার স্ত্রী শংকরী সাহাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। তাকেও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ সাহা বলেন, ‘তাদের মধ্যে জমি নিয়ে পুরানো বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। একজন সহকর্মীর এমন মৃত্যু আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও কষ্টদায়ক।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>