শরীয়তপুরের পদ্মা পাড়ে স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবি

৩ সপ্তাহ আগে
শরীয়তপুরে ভাঙন রোধে পদ্মা নদীর ডানতীড় শাসন ও প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নদী পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর ) বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাজিরা উপজেলার পদ্মা পাড়ের জিরোপয়েন্ট এলাকায় ধসে যাওয়া বাঁধের ওপর এ মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী নারী পুরুষ। 


দ্রুত সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা কনষ্ট্রাকশন ইয়ার্ড রক্ষা বাঁধের ধ্বসে যাওয়া অংশের সংস্কার, নদী শাসন ও নতুন বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা। পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধটি ধসে পড়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে সহস্রাধিক বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কৃষি জমি। অসময়ের এই নদী ভাঙনের জন্য অবৈধ ও অপরিকল্পিত ড্রেজিংকেই দায়ী করেছে স্থানীয়রা।


নদীর পাড়বাসী নেছার উদ্দিন মাদবর বলেন, নদী ভাঙনের পেছনে আল্লাহর হাত ছাড়া অন্য কারো হাত নেই। তিনি পারেন আমাদের রক্ষা করতে। তবে কর্তৃপক্ষ যদি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন তাহলে পদ্মা পাড়ের হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পূর্ব নাডোবা বাজার রক্ষা পাবে। অন্যথায় বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও পড়ুন: সত্যি হচ্ছে পদ্মা পাড়বাসীর তীররক্ষা বাঁধের স্বপ্ন


স্থানীয় বাসিন্দা মোসলেম মাদবর বলেন, অনেকদিন ধরেই আমাদের এই বেরিবাঁধটি ভেঙে আছে। কর্তৃপক্ষ কোন নজর দিচ্ছে না। বর্ষা মৌসুম এলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে এই এলাকা। উত্তর পাশে যে নদীর গভীরতা ছিল সেই গভীরতা এখন দক্ষিণ প্রান্তে চলে এসেছে। এখানে বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রকল্প পদ্মা সেতু রয়েছে, শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে, এখানে অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এগুলো রক্ষা করার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণ করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি বিনীত আবেদন করছি।


উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে ভাঙনে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার অংশ। নদীতে বিলীন হয়ে যায় বাঁধের অপরপ্রান্তে থাকা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ মাদ্রাসাসহ অন্তত দুই শতাধিক বাড়িঘর।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন