জানা যায়, ধানুকা হতে পালং উত্তর বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি ৬০ থেকে ৭০ ফুট প্রশস্ত জমি অধিগ্রহণ করে ২৪ ফুট সড়ক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে অধিগ্রহণ করা বাকি জমির দখল হয়ে গেছে অন্তত ৮৭ শতাংশ। সড়কের পাশের এ সকল জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অন্তত ১৪৬টি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ স্থাপনা।
একাধিকবার দখলদারদের সরে যেতে নোটিশ দেয়া হলেও তারা সরেনি। পরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সোমবার সকালে ধানুকা স্টেডিয়াম থেকে কোর্টের মোড় এলাকা পর্যন্ত ১৫টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় সড়ক বিভাগ। আর সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান চলমান রাখার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সরকারি জায়গায় ‘অবৈধ স্থাপনা’ নির্মাণ নিয়ে চোর-পুলিশ খেলা
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, মাহমুদুর রহমান রাসেল বলেন, ‘নোটিশ দিয়ে আমরা আজ ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। কোর্টে বেশ কিছু মামলা চলমান রয়েছে এবং অনেকেই পুনরায় সড়কের জমি মাপার জন্য আবেদন করেছেন। সে প্রেক্ষিতে আমরা পুনরায় কিছু এলাকা নতুন করে মেপে দেখব। তারপরে আবার তাদের চিঠি দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদ করা জায়গা যাতে করে পুনরায় দখল না হয়ে যায় সেজন্য পরিকল্পিতভাবে সড়কের পাশ দিয়ে বাইসাইকেল চালানোর জন্য একটি ছোট সড়ক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. সালাহউদ্দিন আইয়ূবী বলেন, ‘সড়ক বিভাগের যায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায় আমরা শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা সহ আইনগত সহায়তাও করছি। উচ্ছেদ অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সহায়তা করে যাব।’