মেলা ঘুরে দেখা গেছে লিটলম্যাগ কর্নারে স্থান পেয়েছে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভ্রমণ, মুক্তগদ্য, চিন্তা, চিঠিপত্র, তর্জমা, শিল্প ও সাহিত্যভিত্তিক নানা ধরনের সাময়িকী। তরুণদের সৃজনশীল চিন্তা, নতুন লেখনী এবং ভিন্নধর্মী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে এসব পত্রিকায়। আছে তরুণ শিক্ষার্থীদের হাতে লেখা ও আঁকা ছবিতে পত্রিকাও।
এর আগে ইসলামি বইমেলা মূলত প্রাতিষ্ঠানিক গ্রন্থ ও প্রকাশনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, এখন লিটলম্যাগ কর্নার এনে দিয়েছে ভিন্নতর প্রাণচাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন: নিজের আকিকা নিজে আদায় করা যাবে?
মেলায় আগত পাঠক, গবেষক ও তরুণদের মধ্যে এরই মধ্যে এ কর্নার ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, ইসলামী বইমেলায় তরুণদের সৃজনশীল সাহিত্য চর্চা যুক্ত হওয়ায় এটি হয়ে উঠেছে আরও প্রাণবন্ত। একইসঙ্গে এটি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অগ্রযাত্রার এক বার্তা বহন করছে।
রাহনুমা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও মেলা কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান তুষার বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলায় লিগালম্যাগ কর্নার সত্যিই প্রাণবন্ত। দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, বিশেষ করে আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আমাদের আনন্দিত করছে।’
মেলায় ক্রেতাদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বই মানুষের মনুষত্ব জাগিয়ে তোলে। প্রেমময় রবও পড় বলে কোরআন নাজিল শুরু করেছেন।’
মেলায় ঘুরতে আসা মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নাজমুল জানান, ‘ইসলামি বইমেলায় লিটলম্যাগ কর্নার আমাকে আমার রবের দিকে টেনে নেয়। কোরআনের ব্যাখ্যা ও হাদিস সম্পর্কিত ম্যাগাজিন আমাকে মুগ্ধ করে।’
এখানে অংশ নিয়েছে লেখকপত্র, নকলখানা, প্রলয়শিখা, নবধ্বনি, ইশতেহার, সংযুক্তি, চিন্তানামা, তারাফুল, সালামি, সাহিত্য সৌরভ, স্বপ্নকানন, হালচাল, দুই পাতার আভাস, সজনযাত্রা, মুক্ত আকাশ, স্বপ্নস্বন, যামযাম, ঐতিহ্য, প্রহর, প্রেমপত্র, সরবর, রাহবার, ভাজপত্র, যোগাযোগ, তারান্নুম, পড়ো, মিহওয়ার, শিউলিমালা, পড়ুয়া, চিন্তাচর্চা, আঙিনা, সৃজন, রাহবার, আল মিদাদ, আর রিফদাহ, আশ শাফয়ী, আল ইত্তেহাদ, আল হাদী, প্রতিভা, নয়া প্রভাত, ঝরোকা, মিনহাল, নবচিন্তা, আল বান্না, আর রশিদ, মিনার, উদয়ন, ইকরা, হরফ, সূচনা চতুর্ভোজসহ শতাধিক লিটলম্যাগ।
]]>