১৫৯৮ ম্যাচে ৭৭,১৪০ রান; ভারতের তিন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় আর সৌরভ গাঙ্গুলির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মিলিত ম্যাচ ও রানসংখ্যা এটি। ক্রিকেটার হিসেবে তাদের বিশালত্বের কিছুটা হলেও এখানে আন্দাজ করা যায়। আরও একটা তথ্যে কিছুটা আন্দাজ করা যাবে বোলারদের জন্য ঠিক কতটা দামি ছিল তাদের উইকেট। ক্রিকেট ইতিহাসে যেকোনো ফরম্যাট মিলিয়ে মাত্র একজন বোলারই এই তিন কিংবদন্তিকে শূন্য রানে আউট করার কীর্তি দেখিয়েছেন।
সেই বোলার নিজেও এক কিংবদন্তি। নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি তার ১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই তিন কিংবদন্তি ব্যাটারকে 'ডাক'–এর স্বাদ দিতে পেরেছেন। ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর মাত্র দুই বছরের মধ্যেই শচীন ও সৌরভকে শূন্য রানে আউট করার কৃতিত্ব অর্জন করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ১৯৯৯ সালে ভারত সফরে তিন টেস্ট ও পাঁচ ওয়ানডে খেলেছিল নিউজিল্যান্ড। যদিও তারা দুটি সিরিজই হেরেছিল, ভেট্টোরি ফেরেন অনন্য এক অর্জন নিয়ে—সচিন ও সৌরভকে শূন্য রানে ফেরানোর সাফল্য।
আরও পড়ুন: সাইফকে দলে ফেরানোর ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক
সৌরভ শূন্য রানে আউট হওয়ার স্বাদ পান কানপুর টেস্টে। এই বাঁহাতি স্পিনারকে ডাউন্ড দ্য উইকেটে খেলতে এসে কট অ্যান্ড বোল্ড করে যান প্রিন্স অব ক্যালকাটা খ্যাত সৌরভ। তার আগে খেলেন মাত্র ৫ বল। ওই ইনিংসে ভেট্টোরি একাই ছয় উইকেট নেন, আর বল করেন অবিশ্বাস্য ৫৫.১ ওভার।

সেই সফরে শচীনকেও শূন্য রানে আউট করেন ভেট্টোরি, তবে সেটা ওয়ানডে সিরিজে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি ছিল দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে (বর্তমানে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম)। এই বাঁহাতি স্পিনারের মাত্র ৩ বল খেলেই কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান শচীন। তবে ম্যাচটি নিউজিল্যান্ড সাত উইকেটে হেরে যায় এবং ৩-২ ব্যবধানে সিরিজটি জিতে নেয় ভারত।
তবে, 'দ্য ওয়াল' খ্যাত রাহুল দ্রাবিড়ের বিপক্ষে এই কীর্তির জন্য আরও ৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ভেট্টোরিকে। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে, যেখানে জিম্বাবুয়েও অংশ নিয়েছিল। সে ম্যাচে ২ বল খেলার পর ভেট্টোরির বলে আউট হয়ে যান দ্রাবিড়। ভারত গুটিয়ে যায় ২৭৬ রানে, এরপর নিউজিল্যান্ড ১১ বল ও ছয় উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয়।