ক্লাইভ লয়েড মনে করেন, টেস্টে দুই স্তরের চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হলে আগামী ১০০ বছরেও প্রথম স্তরে উঠতে পারবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রস্তাবিত এই ফরম্যাটে ৬টি করে ডিভিশন থাকবে। প্রতিটি চক্র শেষে এক বা দুই দল উঠবে-নামবে।
বিশ্বের প্রায় সব দলই ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সাথে টেস্ট খেলতে চায়। এই দলগুলোর বিপক্ষে খেললে বাণিজ্যিক ও আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে দলগুলো। তাই তাদের বিপক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চায় না।
যদি আইসিসি এই প্রস্তাব অনুমোদন দেয়, তাহলে ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশকে দুই ডিভিশনে ভাগ করা হবে। ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম স্তরে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা। আর দ্বিতীয় স্তরে থাকবে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ম্যাচ জেতানোর পর শাস্তি পেলেন প্রোটিয়া তারকা
আর এখানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্লাইভ লয়েড। ‘আমাদের দেখতে হবে আইসিসির অর্থের ভাগাভাগি কিভাবে হচ্ছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড পাবে ১৮০ মিলিয়ন ডলার, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান পাবে ৮০ মিলিয়ন। এবং আমরা আগামী ১০০ বছর ধরে সেই গ্রুপে থাকবো!’
একটা সময় গোটা ক্রিকেট বিশ্বে ত্রাসের নাম ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৭৪ এবং ১৯৯৪ সালে মাত্র দুটি টেস্ট সিরিজ হেরেছিল ক্যারিবীয়ানরা। তবে ১৯৯৫ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে অবনতি হতে থাকে দলটির।
সম্প্রতি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজে ২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ডও গড়ে ক্যারিবীয়রা। এরপর লয়েড-লারাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড।
আরও পড়ুন: কোহলির সঙ্গে বাবরের তুলনা নিয়ে ক্ষোভ ঝারলেন শেহজাদ
লয়েড বলেছেন, তাদের সেরা সময়ে বিশ্বের বড় বড় দলগুলো তাদের সঙ্গে খেলতে চাইতো। ‘আমার মতে, এটা ঠিক নয়। আমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে। আমাদের আইসিসির কাছে যেতে হবে। কারণ যখন আমরা শীর্ষে ছিলাম, তখন সবাই আমাদের সাথে খেলতে চাইতো।’
লয়েড আরও বলেন, ‘আমরা প্রায়ই অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলতাম, ইংল্যান্ডে সাথেও। যখন পাকিস্তান বা ভারতে যেতাম, তখন লাখ লাখ মানুষ মাঠে আসতো। আমাদের আরও ভালো কিছু পেতে হবে, কারণ আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনেক অর্থের মালিকা ছিলাম। আমি আশা করছি, বোর্ড সেই সুপারিশ করবে যেখানে প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়া যেতে পারে।’
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে অষ্টম স্থানে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে লয়েড মনে করেন, আইসিসির উচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরও বেশি অর্থ সাহায্য করা। ‘আমাদের আরও বেশি লভ্যাংশের প্রয়োজন। তা না হলে ক্রিকেটের পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে। দেশের বোর্ডের উচিত দ্রুত এ ব্যাপারে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করা।’