লেবাননে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল

২ সপ্তাহ আগে
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দক্ষিণ লেবাননে তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এর আগে বেশ কয়েকটি স্থান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয় সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সেখানে তাদের সামরিক সক্ষমতা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর কথিত সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, অভিযোগ করে যে, গত বছর সম্পাদিত একটি চুক্তি অনুসারে নিরস্ত্রীকরণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এই দলটি।


এদিকে, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দিনের শুরুতে হামলায় একজন নিহত হওয়ার পর বিকেলের বোমা হামলায় একজন আহত হয়েছেন।

 

আরও পড়ুন:ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা প্রত্যাখ্যান হিজবুল্লাহর


ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদরাই বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায়  বাসিন্দাদের অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে নির্দেশ জারি করেন। মানচিত্রে আইতা আল-জাবাল, আল-তাইয়িবা এবং তাইর দেব্বা গ্রামের ভবনগুলো দেখানো হয়েছে। যেখান থেকে স্থানীয়দের সরানোর কথা বলা হয়। দক্ষিণের অন্যান্য শহরগুলোর জন্য আরও দুটি আদেশ পরে দেয়া হয়।


আদেশের প্রায় এক ঘন্টা পরে বিমান হামলা শুরু হয়, যার ফলে আকাশে ঘন ধোঁয়া উড়েতে দেখা যায়।

 

এদিকে. লেবাননে ইসরাইলের পূর্ণাঙ্গ বিমান হামলার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশেষ করে ইসরাইলি নেতারা সতর্ক করার পর যে, তারা হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার প্রচেষ্টা জোরদার না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আরও পড়ুন:আরও এক ইসরাইলি জিম্মির লাশ ফেরত দিলো হামাস

 

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহ জানায়, তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে ইসরাইলকে প্রতিরোধ করার বৈধ অধিকার তাদের আছে। তারা সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্রীকরণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তবে দক্ষিণে সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় বাধা দেয়নি এবং গত বছর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলের উপর গুলি চালায়নি।

 

সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন