লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে ইতি টানছে মালয়েশিয়া, আফগানিস্তানে সহায়তার প্রস্তুতি

১ সপ্তাহে আগে
দুই দশক ধরে লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) মিশনে অংশগ্রহণের পর, মালয়েশিয়া ২০২৬ সালের শেষে নিজেদের ভূমিকা থেকে সরে আসছে। একইসঙ্গে সম্প্রতি আফগানিস্তানে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর মানবিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ খালেদ নরদিন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

 

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সময়সীমা শেষবারের মতো ১৬ মাসের জন্য বাড়ানোর অনুমোদন দেয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত ২৯ আগস্ট সর্বসম্মতিক্রমে এই মিশনের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত বাড়ায়, যার উদ্দেশ্য হলো লেবাননে কাজ করা সব বাহিনীর জন্য একটি সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।

 

জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী ১৯৭৮ সাল থেকে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করে আসছে। ২০০৬ সালে মালয়েশিয়া এই মিশনে যুক্ত হয় এবং তখন থেকে নিয়মিতভাবে মেডিকেল ও প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন শান্তিরক্ষী দল পাঠিয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া /প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

 

লেবানন মিশনের পাশাপাশি আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে সহায়তার জন্য মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

 

তিনি জানান, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার আজকের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের ওপর যেকোনো ধরনের সহায়তা পাঠানো নির্ভর করবে। বলেন, ‘আমরা মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে জড়িত যেকোনো সিদ্ধান্ত ও নির্দেশের জন্য প্রস্তুত’।

 

বলা হয়েছে, সহায়তার ধরন পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। এর মধ্যে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন বা মেডিকেল টিম পাঠানোর মতো পদক্ষেপ থাকতে পারে, যা আগে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মতো মিশনেও করা হয়েছিল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন