লেবাননে শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ১৩

১ সপ্তাহে আগে
দক্ষিণ লেবাননে একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এই হামলায় অন্তত ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

প্রতিবেদন মতে, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে লেবাননের ঘনবসতিপূর্ণ আইন এল-হিলওয়ে শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। দাবি করেছে, হামাসের একটি প্রশিক্ষণ কম্পাউন্ড লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি।

 

অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, লেবাননে ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবিরে তাদের কোনো সামরিক স্থাপনা নেই, তারা ইসরাইলের অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছে।

 

এএফপির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, হামলার পর শিবিরের একটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচতলায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীরা কাজ করছিলেন। আর ওই সময় বন্দুকধারীরা ভিড় সরাতে গুলি ছোড়ে যাতে অ্যাম্বুলেন্স শিবিরে প্রবেশ করতে পারে।

 

একই রাতে দক্ষিণ লেবাননের আল-তাইরি শহরে ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে একজন বেসামরিক লেবাননী নিহত হন এবং স্কুলবাসের শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন আহত হন।

 

আরও পড়ুন: গাজা থেকে পাচার করা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের, নেপথ্যে কারা

 

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আইন এল-হিলওয়ে লেবাননের ১২টি শরণার্থী শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির, যেখানে অন্তত ৬৪ হাজার মানুষ বসবাস করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরাইল আইন এল-হিলওয়েহকে এর কৌশলগত অবস্থানের কারণে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করে।

 

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা আগ্রাসনের পর হিজবুল্লাহর সাথে দ্বন্দ্বের সময় ইসরাইল এই শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করে। তবে আইন এল-হিলওয়েহতে ইসরাইলের হামলার ইতিহাস আরও পুরনো। ১৯৭৪ এবং ১৯৮২ সালেও বোমা হামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

 

সংঘাতের প্রায় এক বছর পর গত বছরের নভেম্বর হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়। এরপরও দক্ষিণ লেবাননে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে জাতিসংঘ সমর্থন দিলে পিএ কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি ইসরাইলি মন্ত্রীর

 

এদিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজাতেও ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। খান ইউনিসে হামলায় এক নারী ও তার শিশু সন্তান আহত হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল এখন পর্যন্ত ৩৯৩টি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ২৭৯ জন নিহত এবং ৬৫২ জন আহত হয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন