শুক্রবার লেবাননের বৈরুতের দক্ষিণ উপশহরে নাসরুল্লাহর স্মরণে সমবেত হন হাজারো সমর্থক। সাজানো হয় প্রতীকী কফিন। হাতে মোমবাতি আর মোবাইলের আলো জ্বেলে প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভক্ত-সমর্থকরা।
একদিন আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হিজবুল্লাহ বৈরুতে তাদের নিজস্ব স্মরণসভার আয়োজন করে। ওইদিন সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শহরের রাউচে রকে নাসরুল্লাহ ও তার প্রয়াত উত্তরসূরি হাশেম সাফিউদ্দিনের ছবি প্রদর্শন করে, যা দেখতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন।
শুক্রবার লেবাননের পাশাপাশি নাসরুল্লাহর হত্যার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে একটি স্মরণসভার আয়োজন করে। বিপুল সংখ্যক মানুষ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই স্মরণসভায় উপস্থিত হন।
আরও পড়ুন: গাজায় অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষের বড় দায়িত্ব নিতে পারেন টনি ব্লেয়ার
যাদের মধ্যে ছিলেন নাসরুল্লাহর ছেলে জাওয়াদ, পিএমএফের চিফ অফ স্টাফ আব্দুল আজিজ আল-মোহাম্মাদী এবং সেক্রেটারি-জেনারেল তাহসিন আল-আওয়াদি। এখানেও বড় পর্দায় নাসরুল্লাহর ছবি প্রদর্শন করা হয়।
নাসরুল্লাহর স্মরণ করা হয় ইরানেও। কার প্রথম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার তেহরানের ওয়ালি-ই আসর স্কয়ারে একটি নতুন দেয়ালচিত্র উন্মোচন করা হয়। ‘সাইয়্যেদ হাসান ইন মাই হার্ট’ নামের ওই দেয়ালচিত্রটিতে শিশুদের সাথে নাসরুল্লাহর সম্পর্ক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
হিজবুল্লাহর তৃতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং প্রতিষ্ঠাতাদের একজন নাসরুল্লাহ ‘প্রতিরোধের সাইয়েদ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। গাজা সংঘাতের মধ্যে গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হন ৩২ বছর ধরে হিজবুল্লাহকে নেতৃত্ব দেয়া নাসরুল্লাহ। তার মৃত্যু ছিল হিজবুল্লাহ ও ইরানের জন্য বড় ধাক্কা।
আরও পড়ুন: ইরানকে সমস্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করার দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র!
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও দক্ষিণ লেবাননে কথিত হিজবুল্লাহর অবস্থানে এখনও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার চাপ বাড়ালেও সংগঠনটি দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
]]>