শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ লিভার। আমাদের পাচন প্রক্রিয়ায় এই অঙ্গটিই বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে। লিভার ভালো না থাকলে ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, দীর্ঘ সময় ক্লান্তি অনুভব করা, হজমের সমস্যা, অ্যালার্জি ইত্যাদিসহ নানা জটিল রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
তাই লিভারের সুস্থতা নিশ্চিতে আসুন জেনে নিই কিছু বিশেষ পানীয় সম্পর্কে-
১) লেবু পানি: সকালে হালকা নাশতার পর পান করার অভ্যাস করুন লেবু পানি। এটি আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর। লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ডি লিমনেন উপাদান লিভারে এনজাইম সক্রিয় করে। তাছাড়া লেবুর ভিটামিন সি লিভারে বেশি করে এনজাইম তৈরি করে যা হজম শক্তির জন্য উপযোগী। লেবুর মিনারেল লিভারের নানা পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত বাসায় লেবু পানি পান করুন।
২) জিনসেং: জিনসেং এক ধরনের ঔষধি গাছ। এর প্যানাক্স শিকড়ে রয়েছে ৪০টি ভেষজ গুণ। এই ভেষজ গুণগুলো যেকোনো ধরনের লিভারের প্রদাহ, আঘাত, বিষাক্ততা, সিরোসিস এবং ফ্যাটি লিভারের বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই মিডিয়াম আঁচে এর শিকড় পানিতে ফুটিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পান করতে পারেন।
৩) গ্রিন টি: লিভারকে ভালো রাখতে প্রতিদিন গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। ভালো ফলাফলের জন্য গ্রিন টির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন মধু ও লেবু।
আরও পড়ুন: লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায়
৪) বিটরুট: বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এ ছাড়া এতে থাকে ফোলেট, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ ও সি। বিটের রস শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে এবং ক্যানসার রোগ থেকে সৃষ্ট লিভারের ক্ষতি পূরণে দারুণ কার্যকর।
৫) হলুদ দুধ: লিভারের চর্বি অপসারণ কিংবা লিভার সিরোসিসের উন্নতির জন্য নিয়মিত পান করতে পারেন হলুদদুধ। হলুদে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লমেটরি এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভারের সমাধান সহজ ব্যায়ামে
৬) অ্যাভোকাডো, শসা, গাজর, টমেটো ও ড্রাগন: লিভারকে ভালো রাখতে পান করতে পারেন অ্যাভোকাডো, শসা, গাজর, টমেটো ও ড্রাগনের জুসও। এসব ফলে থাকা পুষ্টিগুণ লিভারের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত ও কার্যক্ষম রাখতে সহায়তা করে।
]]>