মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ডারবানে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংস শেষে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৭২ রান করে পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে ডেভিড মিলারের অবদান অবশ্য লিন্ডের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলের অন্য ব্যাটাররা যখন পাকিস্তানি বোলারদের সামনে পাত্তাই পাচ্ছিলেন না, তখনই ব্যাটিংয়ে নেমে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন মিলার। ২৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মিলারের ব্যাটেই লড়াইয়ে ফেরে প্রোটিয়ারা। চতুর্থ উইকেটে হেনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন তিনি।
ভয়ংকর রূপ ধারণের আগেই ক্লাসেনকে আউট করেন আব্বাস আফ্রিদি। বিস্ফোরক ব্যাটার ডোনোভান ফেরেইরাও ফিরেছেন মাত্র ৭ রান করে। তবে মিলার ছিলেন পূর্ণ ছন্দে। এক প্রান্তে ঝোড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন তিনি। ৮ চার ও ৪ ছক্কায় তার ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের ইতি টানেন শাহিন আফ্রিদি। বাউন্ডারিতে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে তাকে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মদ ইরফান।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এখন কক্সবাজারে, প্রদর্শিত হবে সৈকতে
মিলারের বিদায়ের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অল্প রানে আটকে যাওয়ার শঙ্কাটা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখন। তবে সেটা হতে দেননি লিন্ডে। দলের প্রয়োজনের সময় ২৪ বলে ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। তার ওই ইনিংসে ভর করে পাকিস্তানকে ১৮৪ রানের লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানেরও। লম্বা সময় অফফর্মে থাকা এই ব্যাটার এদিনও শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এরপর দারুণ ফর্মে থাকা সাইম আইয়ুব পাওয়ারপ্লের সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। কিন্তু আরেক প্রান্তে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলেছেন বেশ ধীর গতিতে। নিজের খেলা প্রথম ৪০ বলে মাত্র ৩৩ রান করেন রিজওয়ান।
রিজওয়ানের ধীরগতির ইনিংসে চাপ বাড়তে থাকে থাকে ধীরে ধীরে। সেই চাপ সামলাতে গিয়ে ব্যাটাররাও আউট হচ্ছিলেন। উসমান খান, তৈয়ব তাহিররা আউট হয়েছেন অল্প রানে।
আরও পড়ুন: ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও বিপর্যস্ত বাংলাদেশ, সিরিজ নিশ্চিত করল উইন্ডিজ
শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৭৩ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা পেসারদের এলোপাথাড়ি বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে ২ ওভারই ৩৭ রান নিয়ে নেয় পাকিস্তান। তবে শেষ ৩ ওভারে আর ৩৬ রান নিতে পারেননি রিজওয়ান-শাহিন আফ্রিদিরা। নিজের কোটার শেষ ওভারে বোলিং করতে এসে ৩ উইকেট তুলে নেন লিন্ডে। আর তাতেই ম্যাচ ঝুঁকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। উইকেটে স্বীকৃত ব্যাটার ছিলেন কেবল রিজওয়ান। মাফাকার বলে আউট হয়ে তিনি ফেরেন ৬২ বলে ৭৪ রানে। রিজওয়ানের বিদায়ে শেষ হয় পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন। ১৭২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
]]>