শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় লালবাগ থানা পুলিশ। এর আগে বিকেলে খুন হন নজরুল ইসলাম।
নিহত নজরুল ইসলাম খুলনার আরংঘাটা থানার তেলিগাতী এলাকার মৃত নবাব আলীর ছেলে। তিনি লালবাগের আরএনডি রোডের জমজম মদিনা টাওয়ারের ৬ তলায় থাকতেন।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট ভাই লালবাগ একটি বেসরকারি ব্যাংকের অফিসার পদে চাকরি করত। ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে সে তার স্ত্রী শারমিন ওরফে নোভা, তার দুই ছেলে এবং শাশুড়িকে নিয়ে ওই বাসায় থাকত। তিন মাস আগে আমার মা ওই বাসায় এসে থাকা শুরু করে। ঢাকায় আসার পর থেকে আমার মাকে নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মাকে নিয়ে যাব।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে নজরুলের স্ত্রী তার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ধারালো বঁটি দিয়ে কোপায়। আহত অবস্থায় নজরুল কোনোভাবে দরজা খুলে বের হয়ে মায়ের কাছে বঁটি ধরতে বলেন। এ সময় তার গলা ও দুই হাতে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
নুরুল ইসলামের অভিযোগ, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় তার শাশুড়িও জড়িত।
লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ জানান, পারিবারিক কলহ থেকে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।