শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুজনকে হেফাজতে নেয় লালবাগ থানা পুলিশ।
লালবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, লালবাগের জমজম টাওয়ারে মা, স্ত্রী, দুই সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে বাস করতেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে দুই সন্তানকে নিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ হঠাৎ নিজ কক্ষ থেকে চিৎকার করে রক্তমাখা শরীর নিয়ে বের হয়ে মায়ের কক্ষের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন নজরুল। পরে মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে গাছে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ, উদ্ধার করল পুলিশ
নিহতের বড় ভাই নুরুল ইসলাম জানান, নজরুলের বাড়িতে মায়ের থাকা নিয়ে আপত্তি ছিল তার স্ত্রীর। পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ করেন তিনি।
নজরুলের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে বটি দিয়ে একাধিকবার কোপানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নজরুলের চাচা।
নজরুলের এমন মৃত্যুতে হতবাক তার বন্ধু, সহকর্মীরা। তারা জানান, ব্যক্তিজীবনে নজরুলের সঙ্গেই কখনওই কারও কোনো রেষারেষি বা দ্বন্দ্ব চোখে পড়েনি।
বাড়ির দারোয়ান জানান, শুক্রবার দুপুরেও দুই সন্তানকে নিয়ে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় হাসিমুখেই কথা বলেছেন তার সঙ্গে।
প্রসঙ্গত: নজরুল পুরান ঢাকার ইমামবাগে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শাখায় চাকরি করতেন। লালবাগের জমজম টাওয়ারের একটি বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি খুলনার আড়ংঘাটা ইউনিয়নের তেলিগাতী গ্রামে।