লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

৪ সপ্তাহ আগে
দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা হাকিমপুরে আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। অধিক লাভের আশায় এখন আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কারণ আগাম জাতের আলু বাজারে উঠলে চাহিদা থাকায় দামও বেশ পাওয়া যায় বলে জানান আলুচাষিরা।

সরেজমিনে হাকিমপুর উপজেলায় খট্রা মাধবপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন কৃষকদের ব্যস্ততা। দলবদ্ধভাবে কৃষকরা জমি প্রস্তুত করে আলুর বীজ রোপণ করছেন।


মাধবপাড়া গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আগাম জাতের আলুতে ভালো লাভ পাওয়া যায়, এজন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দুই বিঘা জমিতে আগাম ক্যারেজ জাতের আলু লাগিয়েছি। আশা করছি আলুর ফলন ভালো হবে দামও ভালো পাবো।’


আরও পড়ুন: এক মৌসুমে একই জমিতে দুবার আলু চাষের সম্ভাবনা


আরেক কৃষক তোষা বলেন, ‘আগাম জাতের আলু চাষ করলে বাজারে দাম ভালো থাকে। লাভবান হওয়ার কারণেই প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা আগাম জাতের আলু রোপণ করছি। প্রতিবছর যে পরিমাণ খরচ হয় এ বছর খরচের পরিমাণটা অনেক কম, তার কারণ হচ্ছে বীজের দামটা তুলনামূলক অর্ধেকের নিচে। গত বছর এক বস্তা বীজের আলু কিনেছিলাম চার হাজার টাকা দিয়ে, বর্তমান সেটা এক হাজার টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে এক বস্তা বীজ কিনতে পারছি।’


আরেক কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আগাম জাতের যে আলু আমরা রোপণ করছি ৫৫ থেকে ৬০ দিনের  মধ্যে বাজারে আসবে যখন আলু বাজারে ওঠে তখন কোনো আলু থাকে না যে কারণে আমরা দামটা ভালো পাই। চলতি মৌসুমে আলুর বীজের দাম কম হলেও সারের দামটা অনেক বেশি। তবে রাসায়নিক সার ব্যবহার কম করে জৈব সারের দিকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।’


আরও পড়ুন: বীজ আলুর ঘাটতি, কৃষকের পকেট কাটছে সিন্ডিকেট!


হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, ‘উপজেলার খট্টা মাদকপাড়া এলাকায় কৃষকরা আলুর বীজ উৎপাদন করে সেই বীজ তারা জমিতে রোপণ করেন। প্রতিবছরের মত এবারও তারা জমিতে আলু রোপণ  শুরু করেছেন। আগাম আলু বাজরে আসতে ৫৫ থেকে ৬০ দিন সময় লাগবে। বর্তমানে আবহাওয়া অনেক ভালো আছে। কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা নির্বিঘ্নে আলু বাজারজাত করতে পারেন। সেই লক্ষ্যে উপ-সহকারীরা ব্লক পর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছেন।’


গত বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে আগামী জাতের আলু আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ইতিমধ্যে ৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন