লাইসেন্স হাতে পেল স্টারলিংক

২ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর জন্য মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংককে লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্টারলিংক কর্মকর্তার কাছে লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল বারী গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

 

গত ৭ এপ্রিল স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট বা এনজিএসও স্যাটেলাইট সার্ভিস অপারেটর গাইডলাইনের অধীনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। পরে যাচাই বাছাই শেষে ২৮ এপ্রিল লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়।

 

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল।

 

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশের নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।

 

আরও পড়ুন: ‘নিরাপত্তা হুমকি’ / ইয়েমেনে স্টারলিংক ব্যবহারে সতর্কতা, ডিভাইস জমা দেয়ার নির্দেশ হুতিদের!

 

তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিনিয়োগ বান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওড়-বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেইসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন