লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই হ্রদ ভ্রমণে পর্যটকরা

২ সপ্তাহ আগে
হ্রদ পাহাড়ের মিতালী উপভোগ করতে প্রতি বছর রাঙ্গামাটিতে ভিড় করে লাখো পর্যটক। আগত পর্যটকের অধিকাংশই ঘুরে বেড়ান হ্রদের নীল জলে। কিন্তু পর্যটক বহনকারী অধিকাংশ বোটেই নেই লাইফ জ্যাকেট। এই ঝড়ো মৌসুমে ঝুঁকি নিয়েই নৌ-ভ্রমণ করছেন পর্যটকরা।

রাঙ্গামাটিতে ৬টি সমিতির অধীনে প্রায় দেড় হাজার ট্যুরিস্ট বোট রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ বোটেই নেই লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম।


রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নোয়াখালীর বাসিন্দা শরিফ হোসেন পরিবার ও স্বজনসহ ২০ জনের টিম নিয়ে বেড়াতে এসেছে রাঙ্গামাটি। যেখানে নারী-পুরুষের সঙ্গে রয়েছে শিশুরাও। হ্রদ পাহাড়ের রূপ উপভোগ করতে ভাড়া করেছেন বোট। কিন্তু সেই বোটে দেখা যায়নি কোনো লাইফ জ্যাকেট। কিন্তু তখনও বয়ে চলছে দমকা হাওয়া।


এখানেই শেষ নয়, ঘাটে নোঙর করা বেশিরভাগ বোটেরই একই অবস্থা। দৃশ্যমান কোনো স্থানে নেই লাইফ জ্যাকেট বা জীবন রক্ষাকারী অন্য কোনো সরঞ্জাম। কয়েকটি বটে যাও দেখা গেলো সেগুলো অনেকেটাই ব্যবহার অনুপযোগী।


চলছে বৈশাখ মাস, মুহূর্তেই পাল্টে যায় আবহাওয়া। মাঝে মাঝে নেই ভয়ংকর রূপ। তখন শান্ত এই নীল জলরাশি হয়ে ওঠে অশান্ত। বোট ডুবে শঙ্কা জাগায় প্রাণহানির। তাই বোটগুলোতে পর্যাপ্ত জীরণ রক্ষাকারী সরঞ্জাম রাখার দাবি পর্যটকদের।


পর্যটক শরিফ হোসেন বলেন, সবাইকে নিয়ে বেড়াতে এসেছি। আর রাঙ্গামাটি এসে হ্রদ ভ্রমণ করব না সেটা তো হয় না। তাই বোট নিয়ে সুবলং যাচ্ছি। বোটে লাইফ জ্যাকেট না থাকা প্রসঙ্গে বলেন, এগুলো থাকা উচিত। বিপদের তো হাত পা নেই।


আরও পড়ুন: হরিণঘাটা পর্যটনকেন্দ্রের দুরবস্থা কাটবে কবে?


গাজিপুর থেকে ঘুরতে আসা শামিম হোসেন বলেন, আমাদের গ্রুপে ৪৫ জন আছে। একটা বোটে করে হ্রদে ঘুরলাম। বোটে কোনো লাইফ জ্যাকেট বা জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম দেখিনি। এটা বেশ বিপজ্জনক। কখন ঝড় ওঠে তার তো কোনো ঠিক নেই। আমাদের দাবি প্রতিটি বোটেই যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম রাখা হয়। গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় দেখতে পেয়েছি এই হ্রদে বোট ডুবে পর্যটক মারা গেছেন।


তবে বোটে লাইফ জ্যাকেট না থাকলে সেটা মানতে নারাজ চালকরা। তাদের দাবি, বোটে সবকিছু আছে। কিন্তু দেখাতে বলাতে বলেন এখানে নেই, প্রয়োজনে অন্য বোট থেকে আনা হয়।


রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক মো. তারিকুল আলম জুয়েল বলেন, বিষয়টি নিয়ে বোটচালক ও মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, সহসাই প্রতিটি বোটে লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুতই মনিটরিং শুরু করব।


তিনি আরও বলেন, দক্ষ চালক দ্বারা বোট চালাতে হবে, সেই বার্তাটিও আমরা মালিক ও চালকদের দিয়েছি। এক্ষেত্রে কোনো অবহেলা দেখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন