গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মাহবুব আনাম বলেন, ‘কমার্শিয়াল রাইটের সকল টাকা পাওয়া যায়নি। সকল টাকা যদি পাই, তাহলে হয়তো দুই-আড়াই কোটি টাকা লাভ হতে পারে। আর যদি সেখানে না পাওয়া যায় তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও ক্ষতির ভাগিদার হতে হবে।’
শুধু ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নয়, ফারুক আহমেদের আয়োজিত সবশেষ বিপিএলে, টাকা পাওনা খোদ বিসিবির। অবশ্য বিপিএলকে টাকা বানানোর মেশিন মনে করেন না নতুন গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান। বরং এই টুর্নামেন্ট থেকে লাভের হিসেব না চিন্তা করে, মাহবুব আনাম গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বচ্ছতা নিশ্চিতে। লম্বা সময়ের চুক্তিতে দল দিতে চান বিসিবির এই পরিচালক।
তিনি বলেন, ‘আয়ের দিক চিন্তা না করে বিনিয়োগ করে এটার ভাবমূর্তিটাকে ভালো করতে হবে। স্পোর্টিংয়ের যত জায়গায়-ই থাকুক, এটা কিন্তু ব্র্যান্ড ভ্যালু। একটা সময় আইপিএলের পরের ইভেন্ট-ই ছিল বিপিএল। যদি জনপ্রিয়তার কথা ধরি। সেখানে আনতে হলে দীর্ঘমেয়াদী ফ্র্যাঞ্জাইজি দরকার।’
আরও পড়ুন: বিপিএলের নতুন চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম
৩০ তারিখ বোর্ড সভার আগে চলতি সপ্তাহে আলোচনায় বসবেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে টুর্নামেন্ট আয়োজন, ফ্র্যাঞ্চাইজি বিতরণ সহ সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের। এছাড়া বছরজুড়ে বিপিএল নিয়ে কাজ করার জন্য আলাদা টিম তৈরি করার ইচ্ছেও আছে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ‘গভর্নিং কাউন্সিলটা আমি মনে করি বর্ধিত করা দরকার। এখানে আরও দক্ষ লোক আসা দরকার। ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকেও প্রতিনিধি আসা দরকার। আমরা সবাই একসঙ্গে। এটা অনেক বিষয়ের সমাধান করবে।’
যদিও বিপিএলের আগে আপাতত টিভি স্বত্ত্ব বিক্রি নিয়েই চিন্তা বেশি। ২০২৭ সাল পর্যন্ত আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে সম্প্রচার স্বত্ত্ব বিক্রির লক্ষ্য বোর্ডের। যদিও বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার মাঝে, প্রত্যাশা বেশি নেই নীতিনির্ধারকদের।
মাহবুব আনাম বলেন, ‘বিশ্বে যেভাবে যুদ্ধ চলছে, বাজার তো আরও মন্দা। মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি করার জন্য আমরা টেলিভিশন স্যাটেলাইট এবং ওটিটি দুটোকে আলাদা করেছি। কেউ গ্লোবাল, কেউ শুধু বাংলাদেশে কেউ নির্দিষ্ট দেশে করতে পারবে। এটা করা হয়েছে যেন অনেক খেলোয়াড়কে টেবিলে আনা যায়।’
আরও পড়ুন: বিপিএলে আসছে নতুন চমক, ভেন্যু হিসেবে যুক্ত হচ্ছে রাজশাহীর নাম
লোকাল টেলিভিশন, গ্লোবাল আর ওটিটি- তিনটি আলাদা ক্যাটাগরিতে দুই বছরের জন্য টিভি রাইটস বিক্রি করবে বিসিবি।
]]>