রাশেদ আলম সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি মৃত মাহবুবুল ইসলামের ছেলে।
ভাইরাল হওয়া ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজনের সামনে শেফালী বেগম (৫০) ও ভাবনা আক্তার (২৪) নামে দুই নারীকে কাঠ দিয়ে মারধর করছে রাশেদ আলম। তাকে স্থানীয় কিছু লোক আটকানোর চেষ্টা করে। পরে ওই দুই নারীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই দুই নারী একে অপরের আত্মীয়।
ভুক্তভোগী ভাবনা আক্তার বলেন, ‘নানার বাড়িতে তার মা ফাতেমা আক্তার ২০০৩ সালে কিছু জমি কিনেন। সেই জমি জোরপূর্বক তার দূর সম্পর্কের মামাতো ভাই রাশেদ আলম বিক্রি করে দেন। ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে রোববার দুপুরে ভাবনা ও তার খালাতো বোন শেফালী বেগম বাধা দেন। একপর্যায়ে রাশেদ তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে নয়জন হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
এ ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে ওই যুবকের বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাশেদ আলম গা-ঢাকা দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এ কে আজাদ বলেন, দুই নারী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারা মারধরের শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।