দ্বীপদেশ তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ হিসেবে দেখে চীন। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো একদিন এটি চীনের সঙ্গে একীভূত হবে। ওয়াশিংটন যদিও তাইওয়ানকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না। তবে দেশটিকে ‘কৌশলগত মিত্র’ বিবেচনায় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে আসছে।
গত ডিসেম্বরে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানের জন্য ৫৭ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলারের প্রতিরক্ষা সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেন। এরপরই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয় চীন।
গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ৭ মার্কিন কোম্পানি ও কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি। চীনে থাকা এসব কোম্পানির সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এছাড়া চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেদিন আরও ২৮টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের নাম তাদের রফতানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করে। কয়েকদিন না যেতেই বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) আরও বড় পদক্ষেপের ঘোষণা নিয়ে আসে বেইজিং।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, লকহিড মার্টিন, জেনারেল ডায়নামিকস ও রেথিয়নের অধীন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ‘অবিশ্বস্ত সংস্থার তালিকায়’ যুক্ত করা হয়েছে, যারা তাইওয়ানে অস্ত্র সরবরাহ করছে। এর ফলে এক সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিষ্টানের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫টিতে।
জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ সুরক্ষার পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পালনের জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো চীনে আমদানি-রফতানি বা নতুন কোনো বিনিয়োগ করতে পারবে না। তাদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের চীনে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত / ব্ল্যাকবক্স পাঠানো হলো যুক্তরাষ্ট্রে, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত
]]>